ঝালকাঠির চরের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

Estimated read time 1 min read
Ad1

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি >>

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিষখালী নদী ও খালের চরের মাটি কেটে ইট ভাটায় ব্যবহার ইট কাটার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদরের বড় কাঠালিয়া খালের তীরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় এলাকাবাসী বলেন, স্থানীয় ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডের মালিকপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বিষখালী নদী চর ও কচুয়া খাল থেকে বড় কাঠালিয়া খালের মধ্যবর্তী এলাকার চরের মাটি কেটে ইট তৈরি করছেন।

অব্যাহতভাবে চরের মাটি কাটার কারণে রাস্তা দেবে ও ভেঙ্গে খালে বিলীন হচ্ছে এবং নদী ভাংঙনের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয়রা এ ব্যাপারে বারবার অনুরোধ ও বাঁধা প্রদান করা সত্বেও কোন কর্ণপাত করছেন না ভাটা কর্তৃপক্ষ। বিষখালী নদী ও বড় কাঠালিয়া খালের ভাঙ্গন রোধে অবৈধ ভাবে চরের মাটি কাটা বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে।

এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদারের কাছে গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বড় কাঠালিয়া এলাকার মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আলী হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, হামেদ মোল্লাসহ ৪৭জনের গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, কচুয়া খাল থেকে বড় কাঠালিয়া খালের মধ্যবর্তী নদীর চরের মাটি কেটে নিচ্ছে বড় কাঠালিয়া ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডের মালিক মো. এনামুল।

অনেকবার গ্রামবাসী নিষেধ করলেও তারা মাটি কাটা বন্ধ করেনি। মাটি কাটা বন্ধ না করে উল্টো যারা বাধা দিয়েছে তাদেরকে নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে। চরের মাটি কাটার ফলে চর বিলিন হয়ে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।

তবে এবিষয় ভাটার মালিক মো. এনামুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার ভাটার জন্য নদী ও খালের চরের মাটি কখনো কাটা হয়নি, আমার ক্রয়কৃত জমির মাটিই কেটে ভাটায় ব্যবহার করছি।

কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, আমি ভাটা মালিককে ডেকে চর থেকে মাটি না কাটার জন্য কঠোরভাবে শতর্ক করে দিয়েছি। এরপরও যদি সরকারি চরের মাটি কাটে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours