মো. সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপালে গড় অবস্থিত৷প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ধর্মপাল গড়ের স্থান একটি অন্যতম আকর্ষণীয়। উপজেলার একমাত্র প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনা এটি।তাছারা এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় এই গড়টির প্রথম খনন কাজ শুরু হয় ১৯৯০ সালে।তবে পরবর্তীতে তা স্থগিত করা হয়েছিল।পরে আবার ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এটি খননের মাধ্যমে আবিষ্কার করে।
জানা যায়,পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল পালের (৭৯৫ খ্রিঃ) মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল রাজ সিংহাসনে আরোহন করেন। তিনি জলঢাকা উপজেলার উত্তর পশ্চিমে প্রায় ২০ কিঃ মিঃ দুরে তাঁর রাজধানী স্থাপন করেন।বহিঃশক্রর হাত থেকে রক্ষার জন্য মাটির প্রাচীর দ্বারা তিনি রাজধানীকে বেষ্টিত করেন।সেই থেকে এ স্থানের নাম হয় গড়ধর্মপাল।এছাড়া ঐতিহাসিক স্থাপনা মানেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে তাদের মহিমা প্রকাশ করে।
এসব ঐতিহাসিক স্থাপনা যেমন আমাদের দেশের সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ তেমনি পর্যটকদেরও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।এই গড় এলাকার চারপাশ ঘিরে আছে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।সবুজে মোড়া দারুণ এক সতেজ পরিবেশ বিরাজমান।
ধর্মপালের গড়ের পাশেই রয়েছে ছোট একটি গ্রামীণ মন্দির।এছাড়া গড়ের রাস্তাটি চমৎকার বৃক্ষের সাড়ি দিয়ে ঘেরা।গড় থেকে ১ মাইল পূর্বে তার রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ ও প্রায় ৩৩ বিঘা পরিমিত চন্দনপাঠের দীঘি আজো তার স্মৃতি বহন করে।
সরেজমিনে গিয়ে এই চন্দনপাঠের দীঘি সম্পর্কে জানতে চাইলে,চন্দনপাঠের ম্যানেজার রেজাউল করিম শাহ বাবু বলেন ভিতরে প্রবেশ করা যাবেনা কতৃপক্ষের নিষেধ আছে।তাই আপনাকে ভিতরে ডুকতে দিতে পারবনা।পরে চন্দন পাঠের দীঘির মালিকের সাথে যোগাযোগের ব্যাবস্হা করে দিতে বললে জানা যায় তিনি দেশের বাহিরে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।
পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও ভিতরে ডুকা সম্ভব হয়নি।বর্তমানে এই দীঘিটি ব্যাক্তি মালিকানায় রয়েছে।স্হানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,এটা একটা পুরাতন নিদর্শন।
সরকার যদি এটাকে সংস্থার করে কোন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারে।তাহলে এলাকার উন্নয়নের প্রশার ঘটবে।দেশের দূর দূরান্ত থেকে এই নিদর্শন দেখার জন্য লোকজন আসবে।এটা আমাদের এলাকার জন্য একটি গৌরবের বিষয়।
বর্তমানে এ ধ্বংসাবশেষের কোল ঘেঁষে গড়ধর্মপাল নামে আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জামিনুর রহমান সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,এ বিষয়ে আমি অবগত না বিস্তারিত জেনে আপনাকে জানানো হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান এর সাথে খবর বাংলার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে যদি এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে।তাহলে আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করব।
+ There are no comments
Add yours