নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের লামায় উপজেলা ফাইতং ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড ধুইল্যাছড়ি পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ নেতা আফজাল ফকিরের নামে আর ৯১৩ হোল্ডিং ৪০ বছর যাবত শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ দখলীতে জমি জবরদখলে হামলাকারীরা আসেন,শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর২১ইং) দুপুর ১টা ৫০মিনিটে বাড়ি পাশে চলাচল রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে এলাকায় ৩টায় দিকে ধুইল্যাছড়ি পাড়া থেকে গুরুতর আহত মুমূর্ষ ওই আফজাল ফকির – স্ত্রী ও ছোট ছেলে আবুল কাশেমের স্ত্রীকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী উচ্ছৃঙ্খল কয়েকজন যুবক ও এলাকায় মানুষের ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
হামলাকারীরা হল, কক্সবাজারের চকরিয়া বড়ভেওলা দরবেশকাটা ইউনিয়নে মধ্যমপাড়া ১নং শাহ আলম(৫৫) পিতা এমদাদ মিয়া ২নং শামসুল আলম (৫৫)পিতা সৈয়দ আলম (পেকুয়া মেহেরনামা বাজার পাড়া ৩নং ওয়ার্ড) ৩নং কাজল আক্তার (৫০) স্বামী আবু তাহের ৪নং আবু ছিদ্দিক (৪২)পিতা মোজাফফর আহমদ ৫নং আরমান পিতা শামসুল আলম ৬নং শাহেদা আক্তার পিতা শামসুল আলম, ৭নং মোঃ বেলাল (৫০)পিতা সৈয়দ আলম সহ ২০/২৫ জন যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে ফিল্মি স্টাইলে এই ঘটনা ঘটায়।
এদিকে আহত আফজাল ফকিরকে এলাকায় মানুষ চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রাথমিক ভাবে মাথায় ও কপালে সেলাই করে।
আহতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এক ব্যাক্তি বলেন, আফজাল ফকির মাথা ও কপাল পেটে দেয় ও স্ত্রী ছেলের স্ত্রী সারা শরীরে আঘাত চিহ্ন রয়েছে বলে জানান।
আহত আফজাল ফকির স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০)জানান আমি বিচার চাই হামলাকারী কয়েকজন দের বিরুদ্ধে বান্দরবান জজকোর্টে মামলা চলমান আছে , আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাচ্ছি তখন ঐ সুযোগ পেয়ে বড় ছেলে স্ত্রীকে মারধর করে, আমাকে মারধর করছে বলে আবাস শোনা গেলে তখন শাশুর শাশুড়ী বাড়ি থেকে সবাই এসে ঐসময়ে হামলাকারীরা ২০/২৫ জন যুবক সামনে থেকে টেনে নিয়ে আমার স্বামী, ছেলে, ছেলের স্ত্রীকে জনসম্মুখে লাথি, ঘুষি ও ইট-লাঠি দিয়ে মারধর করে।
মারধরে আমার স্বামীর মাথা কপাল পেটে যাওয়া অজ্ঞান হয়ে গেলে স্থানীয় পাশে মানুষ দেখেও কেউ হামলাকারীদের ভয়ে আমার স্বামী ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
জনসম্মুখে এমন ঘটনা বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার মানুষের মাঝে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত ঝড় উঠে। সকলে দোষীদের বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য, আফজাল ফকিরে গত (২৮ অক্টোবর১৯) কাঁচা কার্টিজ কাগজ মূলে ১০ শতক জায়গা শাহ আলম (৫৫)পিতা এমদাদ মিয়াকে বিক্রি করেন, কিছুদিন পরে তারা ছৈয়দ আহমদ এর নামীয় অস্থিত্ববিহীন আর ৬৫৬নং হোল্ডিং এর বাহনা দিয়া বার বার আর ৯১৩ হোল্ডিং এর জায়গায় আসিয়া বেআইনীভাবে দাবী উপস্থাপন করে জবরদখল এবং রকম পরিবর্তনেট অপচেষ্টা করেন।
সেই ঘটনার জের ধরে এই ঘটনার সৃষ্টি বলে স্থানীয়রা ও দোষি দের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান,বিষয়টি স্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে অবগতি করলে তারা লামা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এবিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, বহিরাগত অন্য জয়গায় থেকে এসে মারধর করলে অবশ্যই অপরাধ করছ, এই বিষয় খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি কে গ্রেফতার করার জন্য বলা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours