আমির হোসেন, ঝালকাঠি:
শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এরই মধ্যে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পূজার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎ শিল্পীরা। সারাদেশেই চলছে পূজার প্রস্তুতি। সাজানো হচ্ছে প্রতিমা ও মন্দির। তবে এবছরও করোনা ভাইরাসের কারণে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। আর কড়াকড়ি থাকছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা আয়োজনে।
ঝালকাঠীর নলছিটিতে বিগত বছরের ন্যায় এবছরেও উপজেলা জুড়ে চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। উপজেলার ২২টি মন্ডপে তৈরি করা প্রতিমাগুলো অপেক্ষায় রয়েছে শেষ রংতুলির আঁচড়ের।
দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ও মহিষাশুর সহ দেবদেবীদের মূর্তি তৈরির কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মন্ডপ গুলোতে। এখন প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রতিমাগুলোর পূর্ণ রূপ। তবে শেষ মুহুর্তে গেট, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। এদিকে করোনার প্রভাবে প্রতিমা তৈরি উপকরণের সংকট রয়েছে বলে দাবী করেছেন কারিগররা।
আর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবী গত বছরের মতো এ বছরেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে উদযাপিত হবে শারদীয় উৎসব। নলিছিটি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জনারধন দাস জানান, ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাস্ক পরে সকল ভক্তদের মন্দিরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং সকল ধর্মের মানুষকে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে নলছিটি থানা অফিসার ইন চার্জ মোঃ আতাউর রহমান বলেন, দূর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে নলছিটি উপজেলার মন্দিরগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পূজোর আগে থেকেই প্রতিটি মন্দির কমিটির সাথে বিশেষ পুলিশের আইনি-শৃঙ্খলা সভা করা হয়েছে যাতে প্রতিটি মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ র্নিভয়ে নির্বিঘ্নে মন্দিরে ভক্তি ভরে দেবী দর্শন করতে পারে। এছাড়াও ৪ অক্টোবর নলছিটি থানা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
+ There are no comments
Add yours