ঝালকাঠিতে ঝুকিপূর্ণ ভবনের পাঠদান

Estimated read time 1 min read
Ad1

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি >>

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ৯১নং পশ্চিম রাজাপুর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে তিন কক্ষের এই ভবনটি নির্মিত হয়। কয়েক বছর পূর্বেই ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

স্কুলের ক্লাসরুম সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে তিনটি কক্ষের একটিতে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ছয় শ্রেনীর পাঠ দান জরাজীর্ণ ভবনের একটি কক্ষসহ পাশের একটি ভবন চলে। ঐ ভবন থেকেও বর্ষা কালে পানি পরে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট জরাজীর্ণ ঐ ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে।

ভবনের প্রতিটি পিলার ফেটে ভিতরের লোহার রড বের হয়ে গেছে। সিলিং এর পলেস্তার খসে পরে লোহার রড বের হওয়াসহ বর্ষা মৌসুমে ছাদ থেকে সমানে পানি পরে।

দরজা-জানালা অনেক আগেই খসে পরেছে। এখন যে কোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা সব সময় অতঙ্কে থাকে।

ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়। এ কারনে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী আসিফ, জুনিয়া, মুন্নি, জামিলা জানায়, স্কুলের ভাঙ্গা রুমে ক্লাস করতে ভয় হয়। এ কারনে অনেক সময় স্কুলে আসিনা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানায়, স্কুলের যে অবস্থা যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। এ কারনে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে বারণ করি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম চাঁন বলেন, ভবনটি যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে। যার কারনে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছে।

এখন অভিভাবকরা আর তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চায়না। এখন দ্রুত সংস্কারসহ নতুন ভবনের দাবী জানায় কর্তৃপক্ষের কাছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ঐ বিদ্যালয় সম্পর্কে আমাকে কেউ জানায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours