৯ ইউপিতে আ’লীগ মনোনীতদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই
মিরসরাই প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে উৎসবের বৌদলে ছিলো আৎকন্ঠা আর আতঙ্ক। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের কোন প্রার্থী না থাকলেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমাদানে দিনভর মারমুখী আচরণ করেছে সরকারদল সমর্থিতরা। বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনেক প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন নি।
গতকাল রবিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিস, প্রাণি সম্পদ অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও সমবায় অফিসে ৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এসময় শো-ডাউন ও মিছিল করতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের। সবচেয়ে বড় শোড়াউন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়ন।
এদিকে রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার নাগাদ মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট ৬ জন রিটানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা গেছে, এখানকার ১৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সাথে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় তারা একক ভাবে বিজয়ী হওয়ার পথে রয়েছেন। এখানকার খৈয়াছড়া এবং মিঠানালা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টি মনোনীত ২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ১৬টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মোট ১২৭ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬০২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রবিবার সকালে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম আবু তাহের ভূঁইয়া। এসময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের কর্মীরা তার থেকে মনোনয়ন পত্র কেড়ে নিতে চেয়েছিলো বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে তিনি পরবর্তীতে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এর আগের দিন গত শনিবার (১৬ অক্টোবর) ৯ নম্বর সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান স্থানীয় কৃষক লীগের সভাপতি মেজবাউল আলম প্রকাশ ফারুক।
তবে মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন বলেন, ‘অফিসের বাহিরে কোন ঘটনা ঘটলে আমরা কি করতে পারি। তবে তিনি যদি লিখিত অভিযোগ দিতেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।’
মনোনয়ন পত্র জমা দানে সরকার সমর্থিত নেতাকর্মীদের বাধা এবং মারমুখী আচরণ নিয়ে কথা বলতে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াকে ফোন করলে তারা উভয়েই ফোন রিসিভ করেননি।
+ There are no comments
Add yours