নিজস্ব প্রতিবেদক :
টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজনে, কিশোর কিশোরীর অভিভাবকবৃন্দের অংশগ্রহণে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে (২৮ অক্টোবর ২১ইং ) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টায় পর্যন্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, বিশেষ অতিথি উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, একে এম রেজাউল হক, ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন বি এ, প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম (জুবাইর), বান্দরবান প্রোগ্রাম অফিসার, দুকূল মনি চাকমা, বান্দরবান জেলা ট্রেনিং ইন্স্ট্রার্কৃর,প্রহেলী চাকমা, সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রীতিরজন, পাইসুইপ্রু মার্মা, রাজেন্দ্রলাল চাকমা সহ আজিজ নগর ও ফাইতং ইউনিয়ন মাঠ সংগঠন সদস্য বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিভাবকবৃন্দের ও কিশোর কিশোরীর উদ্দেশ্য বলেন,
সাধারণ উদ্দেশ্য: প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগোষ্টির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য জেলার অনগ্রসর জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্যতা অর্জনের লক্ষ্যে মৌলিক সেবার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ এবং তা যথাযথভাবে বিতরন করে মা ও শিশুদের জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন বিষয়ে (পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে) টেকসই ব্যবহারিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ভিশন ২০২১ইং
১. শিক্ষা- ৫০০০ পাড়াকেন্দ্রে শিশু বিকাশ ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মূল ধারার উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করা।
২. স্বাস্থ্য- শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া এলাকার মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমানো।
৩. পুষ্টি- শিশু, কিশোরী ও নারীদের পুষ্টি সেবা প্রদানের মাধ্যমে অপুষ্টি জনিত সমস্যা দুরীকরনে সহায়তা করা।
৪. নারীর ক্ষমতায়ন: খন্ডখালীন কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন।
এসডিজি-
১. পুষ্টি- শিশু, কিশোরী ও নারীদের পুষ্টি সেবা প্রদানের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়তা করা।
২. শিক্ষা- শিশু বিকাশ ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা এবং ঝড়ে পড়া রোধ করা।
৩. পানি ও পয়:নিস্কাশন- সকলের জন্য সুপেয় পানি ও পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনমান বাড়ানো।
৪. স্বাস্থ্য সেবা- স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা।
৫. দারিদ্র বিমোচন- পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে ৫০০০ পাড়াকর্মী ও ৫০০ জন মাঠ সংগঠকের খন্ডখালীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে সহায়তা করা।
৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা:
১. মানব সম্পদ উন্নয়ন- প্রকল্পের জনবল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কিশোর-কিশোরী প্রথাগত নেতৃত্ব, ও কম্যুনিটির প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি।
২. ICT উন্নয়ন- MIS কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন সুচকের পরিবর্তনের তথ্য আদান প্রদান ডিজিটাল পদ্ধতি প্রচলন। সুবিধাবঞ্চিত এলাকা থেকে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা, পাড়াকেন্দ্রে জন্য মাল্টি মিডিয়া ভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচী চালু করা।
৩. পানি ও পয়:নিস্কাশন- সকলের জন্য সুপেয় পানি ও পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনমান বাড়ানো।
৪.স্বাস্থ্য সেবা- স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা।
সরকারের ইশতেহার:
১. কর্মসংস্থান: প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০০ পাড়াকর্মী, ৫০০ জন মাঠ সংগঠক ও 240 জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ।
২. নারীর ক্ষমতায়ন: ৫০০০ পাড়াকর্মী ও মাঠ সংগঠকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়ন করা।
৩. শিশু কল্যাণ: শিশুর সার্বিক বিকাশ ও শিক্ষা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে শিশু অধিকার সনদের বাস্তবায়ন।
৪. পুষ্টি: শিশু, কিশোরী ও নারীদের পুষ্টি সেবা প্রদানের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়তা করা।
৫. টেকসই উন্নয়ন: প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানি ও পয়: নিস্কাশন, শিশু সুরক্ষা কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই ভাবে সামাজিক পরিবর্তন নিশ্চিত করা।
+ There are no comments
Add yours