বান্দরবানে আগ্নেয়াস্ত্র আইনে এক যুবককে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হানিফের আদালত এই আদেশ দেন।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩ জুলাই বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চাকমা পাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত টহল দল দেখে পালানোর সময় ২ জনকে আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গুংরু আগা পাড়া এলাকায় সেগুন বাগান থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২টি চাইনিজ রাইফেল, ৭ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের তাজা গুলি, ৪ রাউন্ড মিস ফায়ার্ড গুলি, ৯৫ রাউন্ড এমএম রাইফেলের তাজা গুলি, ২৫ রাউন্ড মিস ফায়ার্ড গুলি, ২ সেট সেনা বাহিনীর আদলে জলপাই রঙের পোষাক, ২ সেট গুলি-ম্যাগজিন বাউন্ডুলারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনী অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক দুই আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আসামিরা হলেন-সাচিং মং মারমা এবং শিশু নেউ মারমা। তাদের অস্ত্র আইনে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের মধ্যে সাচিং মং মারমার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা, খুন ইত্যাদি অভিযোগে ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। অপর আসামি নেউ মারমা শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু অপরাধ আইনে মামলা চলমান রয়েছে।
তবে অস্ত্র আইনে বিশেষ ট্রাইবুনাল মামলা নং ২০/২০১১ এর মূল আসামি সাচিং মং মারমাকে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ, স্বাক্ষী এবং আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জমাবন্দির ভিত্তিতে বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হানিফের আদালত ১৫ বছরে সশস্ত্র কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তপন কুমার দাস এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেদারুল আলম জানান, অস্ত্র আইনে আটক যুবক সাচিং মং মারমাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
+ There are no comments
Add yours