নলছিটিতে গোডাউন থেকে কৃষি প্রণোদনার মালামাল বিক্রি,২ জনকে শোকজ

Estimated read time 1 min read
Ad1

আমির হোসেন, ঝালকাঠি ::

ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা কৃষি অফিসের গোডাউনে মজুত করে রাখা কৃষি প্রণোদনার মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট অফিসের উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায়ের নির্দেশে মোকাদ্দম মো. ছালাম গাজী এ মালামাল বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ওই দুজনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি। সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।এদিকে এ ঘটনায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কৃষি অফিসের গোডাউনে থাকা কৃষি প্রণোদনার বিপুল পরিমাণ সার ও বীজ, কয়েকটি ড্রাম, ৪-৫টি নেট জাল ও ৫-৬ সেট ফিতা পাইপ উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের এক কৃষকের কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্ট অফিসের মোকদ্দম মো. ছালাম গাজী।

এসময় উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।গোডাউন থেকে এসব মালামাল বিক্রির ঘটনা দেখে ফেলেন স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার।পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে ঘটনাটি জানাজানি হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওইদিন দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি ওই দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

তবে কারণ দর্শানোর নোটিশে তিনি রহস্যজনক কারণে সার ও বীজ বিক্রির বিষয়টি এড়িয়ে যান। এতে অফিস প্রধানের অনুমতি ছাড়া অফিস চলাকালীন সময় ব্যতীত আজিজ নামে কৃষককে ২টি নেট জাল, ১টি ড্রাম ও ২ সেট ফিতা পাইপ প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। নোটিশে এ ঘটনায় ওই দুজনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কৃষি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নামে-বেনামে কৃষি কার্ড দিয়ে কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনাগুলো উত্তোলন করা হয়। এতে প্রকৃত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোকাদ্দম ছালাম গাজী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি অফিসের পাশে একটি ভবনে ভাড়া থাকি। ওইদিন ভোরে মোকাদ্দম ছালাম গাজী আমাকে গোডাউনের সামনে ডেকে নেন। তবে প্রণোদনার মালামাল ওই কৃষকের কাছে বিক্রি বা প্রদানের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অফিস প্রধানকে ওইদিনের ঘটনা না জানানোর কারণে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। যথা সময়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেয়া হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি বলেন, ওই দুজনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের  জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours