আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি >>
ঝালকাঠির নলছিটিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও উদযাপন হচ্ছে সার্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজো। নলছিটি পৌর শহরের তাঁরা মন্দিরে অনাড়ম্বর পরিবেশে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজো।
মাস্ক পরিধান করে মন্দিরে আসা বাধ্যতামূলক করেছেন উদযাপন কমিটিবৃন্দরা। তবে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে মন্দির ও পুরো প্যান্ডেল কালো কাপর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অনাড়ম্বর পরিবেশ হলেও আলোকসজ্জার কমতি রাখেনি আয়োজকরা।
১২ নভেম্বর শুক্রবার অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর আমন্ত্রণ, ১৪ নভেম্বর রোবিবার আরতি প্রতিযোগিতা, মায়েদের সিঁদুর খেলা ও পুরস্কার বিতরণ, সবশেষে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৩ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বী শক্তির দেবী শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজোর পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরতি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মোঃ মাছুদ খান। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সভাপতি প্রান্তিক দাস পুটু, সম্পাদক শুভাশিষ দত্ত প্রদ্যুৎ, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম চৌধুরী দুলাল, গৌরাঙ্গলাল মুখার্জি, শিক্ষক মিলন কান্তি দাস, তাঁরা মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অর্নব দাস শান্ত, সম্পাদক অভিজিৎ কর্মকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এইভাবে প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পূজোর আয়োজন করায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নলছিটির হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিবর্গরা।
জগদ্ধাত্রী দেবী হচ্ছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী শক্তি দেবী। ইনি দেবী দুর্গার অপর রূপ। উপনিষদে তিনি উমা হৈমবতী নামে পরিচিত। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থেও তার উল্লেখ পাওয়া যায়।
রাজসিক দেবী দুর্গা ও তামসিক কালীর পরেই স্থান সত্ত্বগুণের দেবী জগদ্ধাত্রীর। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যদিও জগদ্ধাত্রী আরাধনা বিশেষত বঙ্গদেশেই প্রচলিত রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours