ইউপি নির্বাচনে কর্মী-সমর্থক ছাড়াই ভোটারের দ্বারে দ্বারে স্বামী-স্ত্রী

Estimated read time 1 min read

Ad1

বিপুল মিয়া, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি >>

সম্মানিত প্রিয় এলাকাবাসী,আসসালামু আলাইকুম ও আদাব ভোট গরীব-দুঃখীর স্বর্গীয় আমানত, এটা টাকার বিনিময় খেয়ানত হয় না, এভাবেই হ্যান্ড পাইক হাতে নিয়ে গ্রামে মোঠো পথে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

আগামী ২৮ নভেম্বর আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী কর্মী-সমর্থক ছাড়াই আবু বকর সিদ্দিক স্ত্রী সাথে নিয়ে হাতে হ্যান্ড মাইক হেটেই ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে অন্যান্য প্রার্থীর বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক ও অটোরিকশায় মাইক বেঁধে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করছেন। সেখানে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক (পল্লী ডাঃ) তার জীবন সঙ্গীনীকে সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তার নির্বাচনী প্রচারে কর্মী-সমর্থক না থাকলে নিজের স্ত্রীকে পাশে পেয়ে গর্ভবোত করেছেন আবু বকর সিদ্দিক। এভাবে প্রতিদিন কর্মী-সমর্থক ছাড়াই স্বামী-স্ত্রী মিলে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চাওয়ায় এক ব্যাতিক্রর্মী চমক সৃষ্টি হয়েছেন এলাকায়।

সেই সাথে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার খোরাক। সেই সঙ্গে নৌকা মার্কার প্রার্থীর হাসেন আলী ও মোটর সাইকেল মার্কা চেয়ারম্যনা প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ী একই ওয়ার্ডে হওয়ায় ওই এলাকার ভোটাররা উৎসুখ হয়ে আছে এই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটের কাংখিত ফলাফল নিয়ে। মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। প্রার্থীরা হলেন নৌকা মার্কার প্রার্থী মো.হাসেন আলী, আনারস মার্কার প্রার্থী মো. মুসাব্বের আলী মুসা, চশমা মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব মো.সামচুল হুদা বাবুল মাষ্টার,ঘোড়া মার্কায় প্রার্থী আতিকুর রহমান নয়ন ও মোটর সাইকেল মার্কার প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক (পল্লী ডাঃ)।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক (পল্লী ডাঃ) বাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমফুলমতি গ্রামের মৃত কপুর উদ্দিনের ছেলে। ১ বোন ও ৭ ভাইয়ের মধ্যে আবু বকর সিদ্দিক চতুর্থ। আবু বকর সিদ্দিক বড় ভাই আইয়ুব আলী প্রতিবন্ধী হওয়ার তার ভরণ পোষন দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

শুধু ভাই নয় বড় বোন বিউটি বেগম ত তিন বছর আগে তালাকপ্রাপ্ত হলে তারও ঠাই হয় আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ীতে। আবু বকরের দুই ছেলে। বড় ছেলের বয়স ৬ ও ছোট ছেলের বয়স তিন। আবু বকর কৃষি কাজের পাশাপাশি পল্লী চিকিৎক।

সম্পদ বলে বাড়ী ভিটাসহ তিন বিঘা জমি। সংসারের কাজ-কামের পাশাপাশি টুকটাক চিকিৎসা সেবা দেনও তিনি। দুই বিঘা জমিই বন্ধক রেখে ১৩ শতক জমি ক্রয় করেছেন। বর্তমানে স্ত্রী, দুই ছেলে,এক ভাই ও এক বোনসহ ৬ সদ্যসের সংসার। শিক্ষাগত যোগ্যতা তিনি ১৯৯৬ সালে এস এস সি ও ১৯৯৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক জানান, আমার টাকা পয়সা নেই, নেই কর্মী সমর্থক তার পরেও আমি আমার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি ভোটারদের জানাচ্ছি, ভোট গরীব-দুঃখীর স্বর্গীয় আমানত, এটা টাকার বিনিময় খেয়ানত হয় না। আমার বিশ্বাস ভোটারা আমাকে ভোট দিবে। আর আমি নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমার ২০ শতক জমিতে একটা ক্লিনিক দিবো।

যাতে এলাকার গরীব মানুষ চিকিৎসা সেবা পান। সেই সাথে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সব গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাবো বলেন জানান।

আপনার স্বামীর সাথে কর্ম-সমর্থক নেই এ মন প্রশ্ন করলে আবু বকরের স্ত্রী বিজলী বেগম জানান, কর্মী সমর্থক না থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমি আমার স্বামীর পাশে থাকবো। সবাই ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে আমার বিশ্বাস জনগণ আমার স্বামীকে ভোট দিয়ে জয়লাম করবে। আপনারা আমরা স্বামীর জন্য সাথে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, এভাবে প্রতিদিন কর্মী-সমর্থক ছাড়াই স্বামী-স্ত্রী মিলে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চাওয়ায় এ উপজেলায় ব্যাতিক্রর্মী চমক সৃষ্টি হয়েছেন ঐ চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি আরও জানান ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন সৃষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ তেকে ব্যাপক প্রস্তুুত্তি নেওয়া হয়েছে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours