আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি >>
ঝালকাঠির রাজাপুরে সিফাতুল ইসলাম তামিম (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে বলে মো. সোহাগ হোসেন অপু মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনে আহত তামিম উপজেলা সদরের বাগড়ি এলাকার মো. খলিলুর রহমানের ছেলে ও বরিশাল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
নির্যাতনকারী অপু মৃধা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সত্যনগর এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) মো. ইদ্রিস আলী মৃধার ছেলে। সে বর্তমানে বরিশাল বিমানবন্দর থানায় কর্মরত রয়েছে। ঘটনার পর থেকে অপু পলাতক রয়েছে।
আহত তামিম জানায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকায় দুই দল এসএসসি পরীক্ষার্থী সংঘর্ষে জড়ানোর পরিকল্পনা করিছিল। তামিম বুঝতে পেরে দুই পক্ষকে ঝামেলায় না জড়ানোর পরামর্শ দেয়।
পরে দুই পক্ষই ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এই দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ নির্যাতনকারী অপু মৃধার সহযোগী। এই ঘটনার জেরে গতকাল বুধবার বিকালে অপু ও তার দুই সহযোগী মিলে দুইটি মোরটসাইকেলে করে উপজেলা সদরের খেলার মাঠ থেকে তামিমকে তুলে নিয়ে আঙ্গারিয়া এলাকায় যায়।
সেখানে আঙ্গারিয়া পঞ্চগ্রাম বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে আটকে টানা দুইঘন্টা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে তামিমকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা তামিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।
জানা যায়, অপু মৃধা এর আগেও একাধিকবার এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা এম মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান রুবেল হত্যাচেষ্টা, সত্যনগর এলাকার অপর এক যুবককে হত্যাচেষ্টা, পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ও মাদকের মামলাসহ রাজাপুর ও ঝালকাঠি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
তামিমের বাবা মো. খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত থানায় অবস্থান করেও মামলা করতে পারিনি।
পুলিশ বলেছে, তদন্ত করে দেখে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হালিম তালুকদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours