এম হেলাল উদ্দিন নিরব চন্দনাইশ >>
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় আগামী ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনে চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পিতা-পুত্র মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিনের কাছে তাঁরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
বরকল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
পাশাপাশি তাঁর ছেলে বরকল ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান রাশেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।পিতা-পুত্র একই পদে মনোনয়ন দাখিল করলেও শেষ পর্যন্ত পিতা-পুত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না এবিষয়ে উপজেলার সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা।
জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি পদে থাকার পরেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মনোনয়নপত্র দাখিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, নিজের ও পরিবারের সুখের দিকে না তাকিয়ে সারাজীবন দলের জন্য নিজেকে উজার দিলাম।
সামান্য চেয়ারম্যান পদের জন্য দলের কাছে আবেদন করে প্রত্যাখাত হওয়ায় মনে খুব কষ্ট পেয়েছি। দলের জন্য আমার মত এতো ত্যাগ আর কোন রাজনৈতিক কর্মী তার দলের জন্য করেছে কিংবা করতে পারে বলে আমার মনে হয় না।
আমার প্রতি এভাবে অবিচার করাটা সমীচীন হয় নাই। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় বর্তমান চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নামটি এক নাম্বারে থাকার পরেও দলীয় মনোনয়ন না পাওয়াটা দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, যখনই আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় নাই, তখনই আমি ধরে নিয়েছি যে আমার রাজনৈতিক জীবন এখানেই শেষ। হয়তোবা আর কয়েক বছর বাঁচবো, শেষ বয়সে এসে দল থেকে এমন প্রতিদান পাবো কল্পনাও করি নাই।
অপরদিকে তাঁর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান রাশেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন করবো কি করবো না।”
এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু আহমদ চৌধুরী বলেন, “নৌকার প্রশ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মীরা কখনো আপোষ করে না।
এই নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে যারা প্রার্থী হিসেবে থাকবেন বা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে চন্দনাইশের বিভিন্ন ইউনিয়নে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আহবান জানানো হবে।যদি তারা আহবানে সাড়া না দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours