
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক লেখাপড়ার মান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
আজ আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগরভবনের কে.বি. আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ মনোয়ার জাহান বেগম, শিক্ষকদের পক্ষে আবুল কাশেম বক্তব্য রাখেন। এছাড়া চসিক পরিচালিত স্কুল, কলেজ, কম্পিউটার ও থিয়েটার ইনস্টিডিউট এর প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রশাসক জনাব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে গুণগত মানে যে উচ্চতায় উন্নীত করেছিলেন তা আজ অনেক খানি। তাঁর আমলেই চট্টগ্রাম পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে সারা দেশে প্রশংসাসূচক অভিধায় স্বীকৃত পেলেও সাম্প্রতিককালে এই খাতটি স্বস্থিদায়ক নয়। তিনি বলেন, তিনি তাঁর পথ ধরেই সিটি কর্পোরেশনের এই তিনটি প্রধান সেবা খাতকে তার দায়িত্ব পালনকালে অধিকতর কার্যকর ও গতিশীল করতে সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
চসিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদের চাওয়া-পাওয়াসহ ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত অবগত হওয়া মাত্র তা পূরণ ও সমাধানে কোন কালক্ষেপন করবেন না বলে তিনি মতবিনিময় সভায় আশ^স্থ করেন। তার মেয়াদকালীন ১৮০ দিনের প্রতিটি দিনকে সচল-সক্রিয় ও কর্মমুখর করে রাখতে চান বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ সময় প্রশাসক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা বিভাগের প্রতিষ্ঠানসমূহের বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট থেকে জানতে চান। তিনি একে একে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। সব বিষয়ে অবগত হয়ে প্রশাসক প্রতিটি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বয়স্ক ও নৈশ স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, থিয়েটার ইনষ্টিটিউট, সংস্কৃতি টোল, মসজিদ, মাদ্রাসা সবগুলোর ভবন, পাঠদান পদ্ধতি, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের সংখ্যা, ফলাফল, বেতন-ভাতা, ছাত্র/ছাত্রীদের ফি আদায়, আয়-ব্যয় ইত্যাদি বিষয়ের উপর একটি সার্বিক চিত্র ও প্রস্তাবনা প্রশাসক বরাবরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষা বিভাগ পরিচালিত হয়। তিনি শিক্ষা বিভাগের ব্যয় হ্রাস করার পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন। প্রশাসক বলেন যেহেতু করোনা মহামারি রোধে এখন পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে সেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা যায় এবং নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের খোঁজ খবর ও মনিটরিং করা যায় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকতে হবে। এসময় চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না হলে সেপ্টেম্বরের ২য় সপ্তাহ থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours