চলতি বছরের অক্টোবরেই চালু হবে কর্ণফুলী টানেল: প্রধানমন্ত্রী

Estimated read time 1 min read
Ad1

অনিন্দ্য নয়নঃ

বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল” অক্টোবরে চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার ৭ জানুয়ারি ২২ ইং সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তুলতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল হলে চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে, জীবনমানেও পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্তর থেকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে যেসব বড় অবকাঠামো প্রকল্প সরকার নিয়েছিল, তার মধ্যে পদ্মা সেতু (সড়ক) জুনে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর অক্টোবরে উদ্বোধন করা হবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। ডিসেম্বরে রাজধানীবাসীর জন্য চালু হবে প্রথম মেট্রোরেলের আংশিক সেবা।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,অনেক ষড়যন্ত্রের জাল আর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে যাচ্ছি। এই সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে সরাসরি রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে বাংলাদেশ।পদ্মা নদীর ওপর ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু দেশের জিডিপিতে ১.২ শতাংশ হারে অবদান রাখবে। এ বছরের শেষ নাগাদ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ অংশে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটারের এমআরটি-৬ লাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ প্রকল্পের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৭২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ বছর ডিসেম্বরে ওই অংশে যাত্রী পরিবহন শুরু করা যাবে বলে আশা করছে সরকার। আর মতিঝিল পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচল শুরু হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে।আশা করা যায়, মেট্রোরেল রাজধানী ঢাকার পরিবহন খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জনগণের সরকার হিসেবে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলেই আমি মনে করি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours