মোঃ জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ::
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সীতাকুণ্ডে মনীষার তামাক বিরোধী কার্যক্রম শুরু।তামাক বিরোধী ব্যানারে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে জিবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি,তামাক কোম্পানির আগ্রাসন প্রতিহত করি স্লোগানে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার স্থাপন করতে দেখা যায়।
এসময় সীতাকুণ্ডে টংয়ের দোকানের সামনে,স্কুল,কলেজ ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তামাক বিরোধী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার লাগানো হয়। এছাড়া সীতাকুণ্ডে অবস্থানরত কয়েকটি দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন সরিয়ে তামাক বিরোধী সচেতনতামূলক স্লোগানের ব্যানার স্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার সারাদিনব্যাপী তামাকবিরোধী ব্যানার স্থাপনকালে সামাজিক,মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থা মনীষা’র প্রধান নির্বাহী আজমল হোসেন হিরো জানান,সিগারেট কোম্পানিগুলো ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন ২০০৫ অমান্য করে বিভিন্ন কৌশলে বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রচারণা করছে।
সামাজিক,মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থা মনীষা’র উদ্যোগে এই বিষয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করা হলে,তিনি আইন আমানতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
সিগারেট কোম্পানির অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার_প্রচারণা এবং আগ্রাসন প্রতিহত করতে তামাক বিরোধী কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন পাস এবং ২০১৩ সালে সংশোধিত আইন করা হয়।
আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষিত হয়। তা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি তামাক কোম্পানির কূটকৌশলে তার বাস্তবায়ন কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে।
বিভিন্ন তামাক কোম্পানি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সারাদেশে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে হাজার হাজার পয়েন্ট অব সেল বা টং দোকান স্থাপন করে সেখানে ধূমপানের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
এ ছাড়া তারা নতুন নতুন ধূমপায়ী সৃষ্টির লক্ষ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিড়ি-সিগারেটের দোকান স্থাপন করে মূলত তামাকের বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী।আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours