মিরসরাই প্রতিনিধি ::
মিরসরাইয়ে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মিরসরাই পৌরসভা মাকের্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সড়কে কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র ছাত্রলীগের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে ধাওয়া দেয়।
এরপর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিরসরাই পৌরসভা মার্কেটের সামনে কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহনেওয়াজ নিশাদ ও তার সহপাঠীদের ওপর হামলা হয়। হামলায় নিশাদ, রাজিব, সাকিব ও সজিব নামের চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়।
এরপর ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিরসরাই পৌর বাজারের ফুট ওভার ব্রিজের নিচে আহত ছাত্রলীগ নেতা নিশাদের গ্রæপের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় মিরসরাই পৌরসভা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর।
এসময় উপজেলা সড়কে হাসান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করার সময় হাসানের মা নিজের সন্তানকে বাঁচাতে পেছন পেছন দৌঁড়াতে দেখা যায়। সর্বশেষ ওইদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুনরায় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নিশাদের কর্মীরা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ তালবাড়ীয়া গ্রামে হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াদের বাড়িতে।
এসময় তারা ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং রিয়াদকে না পেয়ে তার এবং তার বড় ভাই সালমানের মোটর বাইকে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। হামলার ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা শাহনেওয়াজ নিশাদ অভিযোগ করেন, ‘গত শনিবার সকালে আমার কলেজের এক শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসলে কয়েকজন বখাটে রাস্তায় দাড়িয়ে ইভটিজিং করে।
এসময় আমরা বখাটেদের ধাওয়া করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনার জেরে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাফর ইকবালের অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাফর ইকবাল নাহিদ বলেন, ‘আমি পারিবারিক কাজে নারায়নগঞ্জে আছি। যে ঘটনা ঘটেছে এটি একটি ইভটিজিং এর ঘটনা।
ঘটনার সাথে অহেতুক আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো মোবাইল ফোনে ফোন করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।’
মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আবছার বলেন, ‘কলেজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসতে পারে। তবে ক্যাম্পাসে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসের বাহিরে ঘটতে পারে। তবে আমাকে কেউ এ বিষয়ে জানায়নি।’
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) রাজিব পোদ্দার জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours