আমিরুল মুমিনিন মাওলায়ে কায়েনাত হযরত আলী মুরতাযা মুশকিল কোশা (র.)- এর ফযিলত ও মর্যাদা

Estimated read time 1 min read
Ad1


……………………………….
ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী
………………………………
আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী র. মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রে নবুয়তের দশ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন তার নাম আলী, উপনাম আবুল হাসান ও আবু তুরাব। উপাধি আসাদুল্লাহ বা শেরে খোদা ও হায়দার। তার পিতার নাম আবু তালিব। মাতার নাম ফাতিমা বিনতে আসাদ ইবনে হিশাম। তিনি প্রিয়নবী দ. এর সহোদর চাচাত ভাই।
যে সবগুণে তিনি ছিলেন অনন্য
তিনি মাওলায়ে কায়েনাত, খলিফাতুল মুসলিমিন, শেরে খোদা মুশকিল কোশা হায়দারে কাররার। তাঁর নাম আলী হলেও তিনি নিজেকে আবু তুরাব বলতে ভালোবাসতেন ও গর্ববোধ করতেন। কেননা, এ নাম তাকে প্রিয়নবীই দিয়েছেন। তিনিই পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি যিনি কাবা শরিফের অভ্যন্তরে জ¥নগ্রহণ করেন। তার জন্মের পর তার সম্মানিত মাতা যখন তাকে রাসূলে পাক দ. এর কোলে দেন। তখন তার চোখ বন্ধ ছিলো যখন হুযুর তাকে কোলে নেন তখন তার চোখ খোলে গেলো। দুনিয়ায় আগমনের পরপরই তার এ মহাসৌভাগ্য হলো যে, সর্বপ্রথম তিনি বিশ্বকুল সরদার সৈয়দুল মুরসালিন দ.এর পবিত্র চেহারা মুবারক দেখলেন। প্রিয় নবী মুস্তাফা দ. তার বেলাদতের গোসল দিলেন এবং তার থুথু মুবারক আলীর মুখে দিলেন। তার প্রতিপালন, শিক্ষাদীক্ষার ভার নিজেই গ্রহণ করলেন। এ কারণে তিনি জাহেলিয়া যুগেও কখনো মুর্তিপুজাসহ কোনো অনৈতিক কাজ করেন নি। সেই কারণে তাকে কাররামাল্লাহু ওয়াহহাহু বলা হয়। আর প্রিয় নবী দ. ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার সাথে সাথে কোনো চিন্তাভাবনা করা ছাড়াই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি এ সৌভাগ্যও অর্জন করেন যে, তিনি প্রিয়নবী দ.এর জামাতা। হুযুর ওহীর মাধ্যমে তার প্রিয় আদরের কন্যা জান্নাতের সরদার মা ফামিতা জাহরার সাথে তার বিয়ে দেন। হাদিস শরিফে আছে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক নবীর বংশধর তাদের পৃষ্ঠেই রেখেছেন আর আমার বংশধর রেখেছেন আলীর পৃষ্ঠদেশে। [সাওয়ায়েকে মুহরেকা, ৪২৪।]
তার সৌভাগ্য এও যে, তিনি জান্নাতের ফুল, জান্নাতের স্তম্ভ এবং জান্নাতের যুবকদের সরদার হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইনের পিতা। শাহানশাহে বেলায়ত-বেলায়তের স¤্রাট। তাঁর থেকেই প্রত্যেক ওলীর বেলায়ত ও ফয়েজ অর্জিত হয়। তিনি হলেন শরীয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফাতের কুলহীন সমুদ্র। তাকে পাঞ্জাতনপাক, আশারায়ে মুবাশিশরা তথা দশজন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ও খোলাফায়ে রাশেদিনের মধ্যে গণ্য করা হয়। রাসূল যখন মক্কা শরিফ থেকে মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরত করলেন তখন তাকে নিজের চাদর মুবারকের নিচে শোয়ায়ে রেখে মক্কাবাসীর আমানত তার নিকট সোপর্দ করেছিলেন। তিনি প্রিয় নবীর সাথে সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন একমাত্র তাবুবের যুদ্ধ ছাড়া। ঔ যুদ্ধে রাসূল তাকে তার প্রতিনিধি হিসেবে মদীনায় রেখে গিয়েছিলেন। হযরত সাদ ইবনে আবি ওকাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাবুক যুদ্ধে হযরত আলীকে মদিনায় রেখে যান। হযরত আলী জিজ্ঞাসা করেন হে আল্লাহর রাসূল আপনি কি আমাকে নারী ও শিশুদের জন্য ছেড়ে যাচ্ছেন? নবীজি বললেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমি তোমাকে এভাবে রেখে যাচ্ছি যেভাবে মুসা আ. তুর পাহাড়ে যাওয়ার সময় হারুনকে তার স্থলাভিষিক্ত করে যান। আমার সাথে তোমার সে সম্পর্ক যে সম্পর্ক হারূন আলায়হিস সালাম ও মূসা আলায়হিস সালামের সাথে ছিলো? তবে পার্থক্য হলো হযরত হারুণ নবীও ছিলেন নবীর প্রতিনিধিও। আর তুমি আমার প্রতিনিধি, নবী নও। কেননা, আমার পর আর কোনো নবী আসবে না। [বুখারি, হা. ন- ৪১৫৪, মুসলিম, ২৪০৪।]

 

 

হযরত আলীর তিনটি বৈশিষ্ট্য
প্রিয়নবী দ. তার তিনটি বেশিষ্ট্য তুলে ধরে বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা মেরাজ রাতে ওহীর মাধ্যমে আলীর তিনটি বৈশিষ্ট বলেছেন: ১. তিনি সকল মুমিনের সর্দার ২. মুত্তাকিদের ইমাম ৩. কিয়ামতের দিন নূরানি চেহারার লোকদের নেতা হবেন। [আল-মুজামুস সাগির, 2: 88]
তিনি ছিলেন প্রিয় নবীর অত্যন্ত প্রিয়। পুরুষদের মধ্যে তিনি তাকে বেশি ভালোবাসতেন। আল্লাহর কাছেও তিনি খুব প্রিয়। এ কারণে হাদিস শরিফে হযরত আলীর ভালোবাসা মুমিন হওয়ার আলামত আর তার সাথে শত্রুতাকে মুনাফিকের আলামত বলা হয়েছে। হযরত উম্মে সালমা বলেন, রাসূলে আকরাম দ.বলেছেন,
لا يحب عليا منافق ولا يبغضه مومن
কোন মুনাফিক আলীকে ভালোবাসবে না আর কোনো মুমিন তার সাথে বিদ্বেষ রাখতে পারে না। [মিশকাত, পৃ. ৫৬৩।]
প্রিয় নবী হযরত আলীর চেহারা দেখা এবং তার আলোচনা করাকে ইবাদত করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ র. বলেন, রাসূল দ. বলেছেন। النظر الي وجه علي عبادة আলীর চেহারা দেখাও ইবাদত। [হাকেম, আলমুস্তাদরাক, ১৪৬, কানযুল উম্মাল, ৬: ১৫৬] হযরত আয়েশা বলেন, রাসূলে আকরাম দ. বলেছেন: ذكر علي عبادة হযরত আলীর আলোচনা করাও ইবাদত। [কানযুল উম্মাল, ৬: ১৫৬]
সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে লেখাপড়া জানা লোকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ইসলামের প্রথম সন্ধিপত্র তারই হাতে লেখা। বিখ্যাত হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্র তিনিই লিখেছেন। তিনি সন্ধিপত্রে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ লিখলেন তখন কাফির পক্ষ আপত্তি করলো। তখন প্রিয় নবী বললেন, আলী! মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ এর স্থলে মুহাম্মদবিন আবদুল্লাহ লিখে দাও। তখন হযরত আলী বললেন, আল্লাহর কসম আমি মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ মুছতে পারবো না। তখন রাসূল নিজেই তা মুছে দেন এবং নিজের নাম লিখে দেন।
এ থেকে বুঝা গেলো যে, প্রিয় নবী নিরক্ষর ছিলেন না। তিনি লিখতে জানতেন। লিখেছেনও। তবে এটা তার নিয়ামিত অভ্যাস ছিলো না। তাই যারা বলে নবী নিরক্ষর তিনি আলিফ বা তাও চিনতেনা জানতেন না। তারা নবীর শান-মান অবমানাকারী, তার ইলম অস্বীকারী ভ্রান্ত।

 

 

 

হযরত আলীর ইবাদত ও বীরত্ব
মুসলমানদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম নামায পড়েন। নামাযের প্রতি তার প্রবল ভালোবাসা ছিলো। তার সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, বিভিন্ন তার শরীরে তীর বিদ্ধ হলে সচেতন অবস্থায় তা বের করা সম্ভব হতো না। তবে যদি তিন নামাযে দাড়াতেন তাহলে তার শরীরের তীরগুলো অনায়াসে বের করা যেতো। এতে তিনি ব্যথা-কষ্ট অনুভব করতেন না। এ কারণে প্রিয় নবী (দ.) হযরত আলী নামায পড়ার জন্য অস্তমিত সুর্যকে ফিরিয়ে আনেন। আর তিনি নামায আাদায় করেন। তার শৌর্যবীর্য বীরত্ব ও সাহসিকতা সর্বজনবিদিত ছিলো। এ কারণে প্রিয় নবী তাকে আসাদুল্লাহ ও সাইফুল্লাহ উপাধি দিয়েছেন এবং তার নিজের তরকারি জুলফিকার তাকে দান করেন। বদরের যুদ্ধে তিনি একাই কুরাইশের বিখ্যাত বারোজন যোদ্ধাকে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। হযরত আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে আলী বলেন, বদরযুদ্ধের দিন আসমান থেকে রিদওয়ান নামক এক ফেরেস্তা বলেন, যুলফিকারের মতো কোনো তলোয়ার নেই আর আলীর ন্যায় কোন যুবক নেই।
খায়বারের যুদ্ধে তিনি আটজন প্রসিদ্ধ ইহুদি বীরকে হত্যা করেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে আলকামুস কিল্লাহর বৃহদাকার লৌহদার নিজের পিঠে তুলে নেন আর মুসলামনগণ তাতে উঠে কিল্লাহর ভিতর প্রবেশ করে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। পরে তিনি তা নিক্ষেপ করলে তা অনেক দূরে গিয়ে পড়ে। চল্লিশজন বীরপুরুষও তা সেখান থেকে সারাতে পারে নি। হযরত সাহল বিন সাদ হতে বর্ণিত। তিনি বললেন, রাসুল দ. বলেছেন, আগামীকাল আমি এ যুদ্ধ পতাকা এমন এক ব্যক্তির হাতে প্রদান করবো যার হাতে আল্লাহ তায়ালা খায়বার দুর্গ জয় করাবেন। যিনি আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসেন আর রাসূলও তাকে ভালোবাসেন। অতপর ভোর হতেই লোকেরা হুযুরের কাছে এসে হাজির হলো। তারা প্রত্যেকেই মনে মনে আশা করেছিলো যে, পতাকা তাকেই প্রদান করা হবে। কিন্তু রাসূল জিজ্ঞাসা করলেন, আলী কোথায়? লোকেরা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার চোখ উঠেছে। তিনি বললেন, তাকে ডেকে আনার জন্য লোক পাঠাও। অতঃপর আলীকে আনা হলো। তখন রাসূল তাঁর উভয় চোখে থুথু লাগিয়ে দিলেন। এতে তিনি এমনভাবে সুস্থ হয়ে গেলেন যেন তার চোখে কোন রোগ-বাধিই ছিলো না। তারপর তিনি তার হাতেই পতাকা অর্পন করলেন। আর আল্লাহ তায়ালা হযরত আলীর হাতে খায়বরের জয় দান করলেন। [তারিখুল খোলাফা, 114]
এ হাদিসের দুটি বক্তব্য খুবই লক্ষণীয় একটি হলো, নবীজি বললেন, আমি আগামীকাল এমন একজনের হাতে পতাকা দেবো যারা হাতে আল্লাহ খায়বারের বিজয় রেখেছেন। এ থেকে বুঝা গেল প্রিয় নবী ইলমে গায়ব জানেন এবং আগামীকাল কি হবে তাও জানেন এবং কার হাতে বিজয় হবে তাও জানেন। দ্বিতীয়তঃ প্রিয় নবীর থুথু মোবারক শেফা। কেননা, তা দেওয়ার সাথে সাথে হযরত আলীর চোখউঠা রোগ সাথে সাথে নিবারণ হয়ে গিয়েছিলো।

 

 

 

হযরত আলীর জ্ঞান ও ইলমে গায়ব
শুধু প্রিয় নবী নয় তার উসিলায় হযরত আলীও ইলমে গায়ব জানেন। আবুত তোফায়েল আমের ইবনে ওয়াসেলা থেকে বর্ণনা করেন। আমি হযরত আলীর এক ভাষণে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেন, سلوني فوالله لا تسئلوني عن شي يكون الي يوم القيامة الا حدثتكمআমার নিকট প্রশ্ন করো আল্লাহর শপথ! কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য যে কোনো বিষয়ে তোমরা আমাকে প্রশ্ন করো সে বিষয়ে আমি তোমাদেরকে বলে দেবো। [আর রিয়াদুন নাদারা, ২: ২৬২]
এ হাদিস থেকে বুঝা গেলো যে, হযরত আলী প্রিয় নবীর উসিলায় ইলমে গায়ব ও ভবিষ্যতে সংঘটিতব্য বিষয়ে জানতেন। কেননা, প্রিয় নবী বলেছেন, علي عيبة علميআলী আমার গোপন জ্ঞানের ভাÐার। [কানযুল উম্মাল, ৬: ১৫৩] انا دار الحكمة وعلي بابهاআমি জ্ঞানবিজ্ঞানের গৃহ আর আলী সে গৃহের দ্বার। [মিশকাত, ৫৬৪] انا مدينة العلم وعلي بابهاআমি জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরজা। [তারিখুল খোলাফা, ১৪৪] এ হাদিসের মর্মার্থ হলো রাসূল ছিলেন ওহীর ধারক-বাহক সমস্ত খোদায়ি জ্ঞান ওহীর মাধ্যমে তার নিকট আসে। আর এ জ্ঞান বিতরণ হয় হযরত আলীর মাধ্যমে। তাই তাকে জ্ঞানের শহরের দরজা বলা হয়েছে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, ان القران انزل علي سبعة احرف ما فيها حرفً الا وله ظهرً وبطنً وان عليا عنده من الظاهر والباطن
কুরআন সাত হরফে তথা সাতকিরাতে অবতীর্ণ হয় এবং প্রত্যেক হরফের একটি বাহ্যিক আর আরেকটি বাতেনি অর্থ রয়েছে। প্রত্যেক হরফের জাহেরি ও বাতেনি উভয় অর্থ হযরত আলীর জানা আছে। [হুলিয়াতুল আওলিয়া, ১: ৬৫]
হযরত আলী বলেন, আমি যদি চাই তাহলে বিসমিল্লাহর বা-তে যে নুকতা আছে এ নুকতার জ্ঞান দ্বারা একটি উট পূর্ণ করে দিতে পারি। তিনি বলেন, যদি আমি ইচ্ছা করি তাহলে সুরা ফাতিহার তাফসির দ্বারা সত্তর উট পূর্ণ করে দিতে পারি। যদি তোমরা চাও তা আমি করে দিতে পারি তবু সূরা ফাতিহার তাফসির শেষ হবে না। তিনি আরো বলেন, যদি আমার জন্য বিছানা করে দেয়া হয় তহলে আমি বিসমিল্লাহর বা এর ব্যাখ্যায় সত্তরটি উট ভরে দেবো। তবু এর তাফসির শেষ হবে না। [আদদাউলাতুল মক্কিয়া, ৬৩-৬৪]
হযরত আলীর কারামত
তার অসংখ্য কারামতের মধ্যে একটি বলবো। সহীহ রেওয়ায়েত অনুযায়ি হযরত আলী যখন অশ্বারোহনের সময় ঘোড়ার রেকাবে পা রাখতেন তখন কুরআন তেলাওয়াত শুরু করতেন এবং দ্বিতীয় রেকাবে পা রাখার সময় কুরআন মজিদ শেষ করে নিতেন। অন্য বর্ণনা মতে, তিনি ঘোড়ার পিঠে পূর্ণরূপে বসার পূর্বেই কুরআন পাক খতম করে নিতেন। [শাওয়াহেদুন নবুয়ত, ২১৪]
কুরআনের সাথে হযরত আলীর সম্পর্ক নিবিঢ়। তাই কিয়ামতের এ কুরআন তার সাথে থাকবে। হযরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : আলী কুরআনের সাথে আর কুরআন আলীর সাথে। এ দুটি কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। এভাবে উভয়ে আমার নিকট হাউজ কাউসারে উপস্থিত হবে। [আল মুজামুল আওসাত, হা. ন. ৪৮৮০।]
তিনি চার বছর আট মাস নয় দিন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন। ৬৬০ খৃ. ২৪ জানুয়ারি, ৪০ হি. ২১ রমযান তেষট্টি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন। হযরত ইমাম হাসান, ইমাম হুসাইন ও আবদুল্লাহ ইবনে জাফর তাকে গোসল দেন। আর ইমাম হাসান তার জানাযার নামায পড়ান।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হযরত আলীর ফয়ুজ ও বারাকাত নসিব করুন।

ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী, ঢাকা।
তারিখ -১৫. ০২. ২০২২ ইং
————————————-

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours