আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
স্বামীর অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার প্রক্সি দিতে এসে আটক হলেন স্ত্রী। বিষয়টি ধরা পড়লে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী হাকিম। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীকেও বহিষ্কার করা হয়।
ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। কক্ষ পরিদর্শকের অবহেলার কারণে মেয়েটি এমন সুযোগ পেয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
পরীক্ষাসংশ্লিষ্টসূত্র জানায়, শহরের নেছারাবাদ এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান ঝালকাঠি সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের কক্ষে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় তিনি অংশ নেন। বুধবার বেলা ১টায় ইংরেজি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক ছিলেন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। পরীক্ষার্থী মতিউর রহমানের পরিবর্তে ‘বডি চেঞ্জ’ করে পরীক্ষায় অংশ নেন তাঁর স্ত্রী মারিয়া রহমান। দেড় ঘণ্টা তিনি পরীক্ষার খাতা লেখেন। পরীক্ষার শুরুতে কক্ষ পরিদর্শক খাতায় স্বাক্ষরও করেন। পরে বিষয়টি ধরা পড়লে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম (এনডিসি) মো. বশির গাজী ওই তরুণীকে আটক করার নির্দেশ দেন। পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। এ সময় বডি চেঞ্জ করে পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন হাকিম।
ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা বুধবার শুরু হয়। ইংরেজি পরীক্ষায় স্বামীর পরিবর্তে বডি চেঞ্জ করে স্ত্রী পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি ধরা পড়ে দেড় ঘণ্টা পরে। অসতর্কতার কারণে মেয়েটি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই মেয়েটিকে আটক করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের এনডিসি ও নির্বাহী হাকিম মো. বশির গাজী বলেন, বডি চেঞ্জ করে পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে ওই তরুণীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থী মতিউর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে। আটক তরুণীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours