মোঃ জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার শেখপাড়া এলাকায় অবস্থিত জেলা হাঁস মুরগী খামার জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।বিশাল আয়তনের এই সরকারী খামারে বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ১৫ টির অধিক পদ পদ শূন্য রয়েছে বলে জানা গেছে।১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই খামারে ৪৪ হাজার বাচ্চা এবং ১৪ শত বড় মুরগী ও ২ লক্ষ ৫২ হাজার ডিম উৎপাদন করা হয়।আনুমানিক ১০ একরের আয়তনের এই খামার সীতাকুণ্ডে অবস্থিত হলেও এটি পুরো চট্টগ্রামের ভাগ্য বদলে বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে।তবে পরিতাপের এবং ভাবনার বিষয় হলো বিশাল আয়তনের এই সরকারী খামারের মোট ৬ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী রয়েছে।লোকবলের অভাবে তাদেরও দায়িত্ব পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পদ শূন্য থাকায় জেলা হাঁস মুরগী খামারের উপ পরিচালক নিজস্ব দায়িত্বের পাশাপাশি কখনো কম্পিউটার অপারেটর কখনো মুরগী কাটার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।একজন কর্মকর্তা একাধিক কাজে লিপ্ত থাকার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে নড়বড়ে হয়ে উঠছে।আর এদিকে জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম দিন দিন বেহাল অবস্থায় পতিত হচ্ছে।এতে পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী মুরগী ও ডিমের অভাব পূরণ হচ্ছেনা কৃষিবান্ধব জেলা চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ,কৃষক ও খামারীদের।তবে চট্টগ্রামের খামারীরা উপ পরিচালক আতিউর রহমান যোগদানের পর আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।তিনি ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখে যোগদানের পর থেকে সরকারী খামারের দৃশ্যপট রাতারাতি পাল্টে যায়।জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা ভবন এবং চার দেয়াল বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে চাকচিক্য করে তুলেন।এছাড়া বর্তমানে সরকারি খামারে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান ও রয়েছে।বাগানের সৌন্দর্যবর্ধক রক্ষায় নিয়মিত উদ্ভিদের যত্ন নেন।
জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হলেও পিছপা হননি ওই সরকারী কর্মকর্তা।তিনি খামারী এবং কৃষকের উন্নয়নে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।এছাড়া জেলা হাঁস মুরগী খামারের পরিবহন এবং মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া একমাত্র রাস্তাটিও তিনি আসার পর উন্নয়ন হয়।দিন দিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বিশাল আয়তনের এই সরকারী খামারের নান্দনিক রুপের ছোঁয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা।
শূন্য পদে নিয়োগ হলে সরকারী জেলা হাঁস মুরগী খামারের দৈনন্দিন কার্যক্রম গতিশীল এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির ক্ষেত্রেও বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে। মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সরকারী খামারের দিকে সুনজর অতিব জরুরী বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম সরকারী জেলা হাঁস মুরগী খামারের উপ পরিচালক আতিউর রহমান বলেন,পদ শূন্য থাকায় নিজ দায়িত্বের বাইরেও অন্যান্য কাজগুলো করতে হচ্ছে।তবুও আমরা সততার সঙ্গে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছি,যাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়।খামারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেলে কৃষক,সাধারণ মানুষ ও খামারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।জনবল সংকট না হলে খামারের চিত্র অন্যরকম হতে পারত বলে তিনি জানান।সরকারের পাশাপাশি আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই এবং উন্নয়নশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকি তাহলে অর্থনৈতিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।এছাড়া বিভিন্ন চক্রের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সত্যতা উদঘাটন করতে হবে।অবৈধভাবে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা না পেয়ে যারা খামারের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours