উলিপুরে কালের সাক্ষী নান্দনিক স্থাপত্যের মুন্সিবাড়ি

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

 

 

 

 

ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

প্রাচীন স্থাপত্য মুন্সিবাড়ি নিয়ে,বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছে:কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার অদুরে ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে ২৭০ বছরের অধিক পুরাতন স্থাপত্য মুন্সিবাড়ী।

 

 

নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাসনামলে খসড়া প্রনয়ন বিভাগে একজন কর্মচারী ছিলেন বনওয়ারী মুন্সি । শিকারে এসেছিলেন বামনী নদীপথে ধরনীবাড়ি অঞ্চলে। এ সময় তিনি একটি সাপকে ব্যাঙ গিলে ফেলার দৃশ্য দেখেন। অতি উৎসাহিত হয়ে নবাবকে এ অঞ্চলের কিছু জমি তার নামে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
নবাব তাকে ২১.২০ একর জমি এবং লক্ষ্মী নারায়ণের জন্য ১১.২০ একর জমি বরাদ্দ করেন। বনওয়ারী মুন্সির কোনও সন্তান ছিল না। তাঁর স্ত্রী কাদিঙ্গিনী মুন্সী, লক্ষ্মী নারায়ণকে সেবা করার জন্য বিনোদ নামে একজন দত্তক পুত্র নিয়েছিলেন। কিন্তু বিনোদও সন্তানহীন ছিলেন। পরবর্তীতে তাই একই উদ্দেশ্যে বিনোদের স্ত্রী, কৃষ্ণ কামিনী আরেক ছেলে, ব্রজেন্দ্র লালকে গ্রহণ করেছিলেন। পরে ব্রজেন্দ্র লাল মুন্সির স্ত্রী আশরাথ মুন্সি দুই মেয়েকে জন্ম দেন। বড় মেয়ে শুচি রানী ও ছোট মেয়ে শুশমান কান্তি। শুশমান কান্তি খুব অল্প বয়সে মারা যায়। কুষ্টিয়াতে শুচি রানীর বিয়ে হয়। পরে তার পরিবার কলকাতায় বসবাস করতে চলে যায়।
শুচী লক্ষ্মী নারায়ণকে সেবা করার জন্য একজন পুত্র সন্তান দত্তক গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে বিহারীলাল মুন্সী কলকাতায় চলে যান। সংস্কারের অভাবে ভবনটির নাট মন্দির , দুর্গা মন্দির, বিষ্ণু মন্দির, ডাইনিং ঘর, রান্নাঘর, গোবিন্দ মন্দির, অঙ্কন ঘর, বিছানা ঘর, উপরের তলায় বিশ্রামের ঘর, বাথরুম এবং শিব মন্দির নষ্ট হয়ে যায়। মুন্সিবাড়ী ও তার সম্পত্তি দখলের জন্য স্থানীয় কিছু লোকের বিরোধ সৃষ্টি হয় ও অনেকেই আহত ও একজন নিহত হয়। পরবর্তীতে সরকার মুন্সিবাড়ী ও তার সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
বর্তমানে ইসলামী মিশন ও ফাউন্ডেশন ভুমি অধিদফতরের নিকট থেকে ৯০ বছরের জন্য ভবনটি লিজ নিয়ে, সেখানে একটি হাসপাতাল ও একটি মসজিদ স্থাপন করেছে। এ ছাড়াও কিছু জমি স্থানীয় লোকজনকে লিজ দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours