খবর বাংলা ডেস্ক
করোনার প্রাদুর্ভাব কমে অর্থনীতি সচল হলেও, ব্যাংক খাতে কমছে আমানতের পরিমাণ। অর্থবছরের সাত মাসে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা বা ৫১ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, বিনিয়োগ ও ভোগব্যয় বাড়ায় আমানত কমেছে।
তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রণোদনার টাকা যথাসময়ে ফেরত না আসা, রেমিট্যান্স ও সুদ হার কমার কারণেই আমানত কমছে।
করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। এতে বাড়ছে বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা। তবে, সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকগুলোতে অর্থের সংকট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব বলছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে বেশ কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা ও বিশেষ রেপো সহায়তা দেয়া হয়।
হিসেব বলছে, করোনার আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। সেই প্রবৃদ্ধি বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাড়ে ১৪ শতাংশে ওঠে। এর পর থেকে টানা কমছে আমানতের প্রবৃদ্ধি। জানুয়ারি পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ৭ মাসেই আমাতের প্রবৃদ্ধি কমেছে সাড়ে ৫১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, মানুষ এখন নিজেদের সঞ্চয় বিনিয়োগ করছে। আবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগব্যয় বাড়ায় নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।
ব্যাংকগুলোর আমানত কমার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার অজুহাতে নিয়মিত ঋণের পাশাপাশি প্রণোদনার টাকা যথাসময়ে ফেরত আসেনি। এছাড়া, রেমিট্যান্স ও সুদ হারের পতনে আমানতের প্রবৃদ্ধি ব্যাপকহারে কমে গেছে। এদিকে, দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা বেসরকারি খাতের ঋণে গতি ফিরেছে। জানুয়ারি পর্যন্ত বার্ষিক ঋণের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের বেশি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন বিশ্লেষকরা।
+ There are no comments
Add yours