খবর বাংলা ২৪ ডেস্ক
বাংলাদেশে সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিচারের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার যে আইনি সুযোগ এতদিন ছিল, সে সংক্রান্ত দুটি ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার আইন এভিডেন্স অ্যাক্ট ২০২২-এর সংশোধনীর খসড়ায় এই আইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, জেরা করার সময় শালীনতা বজায় রেখে প্রশ্ন করার ব্যাপারে আদালত ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার আইনজীবীকে নির্দেশনা দিতে পারবে।
বাংলাদেশে বহুদিন যাবত আইনজীবীরা ও মানবাধিকার কর্মী এই ধারাটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন।
এই রায়ের পর ধারা দুটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে কয়েকটি সংগঠন মামলাও করেছিল।
বাংলাদেশের সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনটি করা হয়েছিল ১৮৭২ সালে।
আইনটির দুটি ধারায় আইনগতভাবেই ধর্ষণের ঘটনার বিচারের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী নারীকেই দুশ্চরিত্র প্রমাণের যে সুযোগ রয়েছে,
তাতে প্রায়শই দোষী ব্যক্তি ছাড় পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নিনা গোস্বামী।
এমন অভিজ্ঞতার কারণে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার নারীরা প্রায়শই বিচার চাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
ধারা দুটি বাতিল হলে এটি তদন্তকারীদের উপরেও বর্তাবে।
+ There are no comments
Add yours