খবর বাংলা ২৪ ডেস্ক
আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব।
এ উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে এ উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’ ও ‘দোল পূর্ণিমা’ নামে পরিচিত।
এ উৎসব ঘিরে রাজধানীহ সারাদেশে মন্দিরে মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে উৎসব সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হবে।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরেও দোল উৎসবের আয়োজন হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন।
এজন্য ভক্তেরাও মাতেন আবির ও গুলাল খেলায়। ফাল্গুনের এ পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম। ফলে এ দিনটিকে গৌর পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে।
দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এদিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হন।
দোল পূর্ণিমায় শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে।
দোল পূর্ণিমা ঘিরে রাজধানীতে বিশেষত পুরান ঢাকায় হোলি খেলার প্রচলন রয়েছে।
‘হোলি’ বা ‘দোলযাত্রা’ উৎসব উপলক্ষে এদিন নগরবাসী একে অন্যকে বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে মাতোয়ারা হন।
আবির খেলার উচ্ছ্বাসে মাতেন তরুণ-তরুণীরা। নানা রঙে-ঢঙে হোলির আনন্দে শামিল হন সব ধর্ম-বর্ণের আবালবৃদ্ধবনিতা।
+ There are no comments
Add yours