নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ও তার ধারাবাহিকতায় বান্দরবানের লামা উপজেলায় পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’।
যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও রোগ নির্মূলে সারাবিশ্বে দিবসটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশের একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা যক্ষ্মা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট করু যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্মারোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মারোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর এ দিনটিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার ও কিছু বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর মাস থেকে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করার জন্য বিশ্ব নেতারা একমত হন। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকার, সুশীল সমাজ, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি যক্ষ্মা নির্মূলে এবং যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার দেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা দেওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ।
যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট একটি রোগ। এ রোগটি বেশিরভাগ ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। তবে যক্ষ্মা শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এক্ষেত্রে এটি সংক্রামক নয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে যক্ষ্মা রোগ নিরাময় সম্ভব। তাই যক্ষ্মা হলে আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খেলেই এর নিরাময় সম্ভব।
+ There are no comments
Add yours