খবর বাংলা ২৪ ডেস্ক
রাজধানী ঢাকা সহ পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় গত কয়েকদিনে রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত দুই দিনেই হাসপাতালটিতে দুই হাজার ৪০৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ অবস্থায় রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরতরা চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা।
২৫ মার্চ (শুক্রবার) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিডিডিআর।
২৪ মার্চ রাত পর্যন্ত এক হাজার ১৭৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আইসিডিডিআর,বি-তে এসে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগের দিনও রাত পর্যন্ত এক হাজার ২৩৩ জন রোগী ভর্তি হন।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, টঙ্গী ও উত্তরা থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি আসছে।
এর আগে (২৩ মার্চ) হাসপাতালটির মিডিয়া বিভাগ সূত্র জানিয়েছিল, গত সাত দিনে ৮ হাজার ১৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এর আগে গত ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এরকমই একটি প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল, যা একেবারে মহামারির রূপ ধারণ করে।
সেটি স্থায়ী হয়েছিল মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দৈনিক ১২-১৩শ ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে আসছেন।
যাদের অধিকাংশকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরতরা।
হঠাৎ ডায়রিয়া রোগী সংখ্যা বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে ডা. বাহারুল আলম বলেন, গরমে ওই জীবাণুটি অনুকূল পরিবেশ পায়।
এই সময়ে জীবাণু বেশিক্ষণ বেঁচে থাকে। তাছাড়া গরমের সময় অনেকে অনিরাপদ পানি পান করেন। এতে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমাদের পরামর্শ হলো, বাইরের কোনো খাবার খাবেন না। যেখান সেখান থেকে পানি খাবেন না।
পানি যদি খেতে হয় তাহলে সেটি ফোটানো হতে হবে। অন্যথায় নিশ্চিত হতে হবে পানি জীবাণুমুক্ত।
সেইসঙ্গে করোনাকালীন সময়ের দুই বছরে হাত ধুয়ার যে একটা ভালো অভ্যাস তৈরি হয়েছিল, এটা বজায় রাখতে হবে।
+ There are no comments
Add yours