কুড়িগ্রামের বাঁশজানী সীমান্তে বাঘের আতংক

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দক্ষিন বাঁশজানী ঝাকুয়াটারী গ্রামে দুইটি বাঘের দেখা মেলেছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
শনিবার(২৬ মার্চ) রাতে পাথরডুবি ইউনিয়নের ওই গ্রামে বাঘ দুটিকে দেখতে পান তারা। এ ঘটনায় ওই এলাকার মানুষদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কফিলুর রহমান বলেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতে বাঘের গোঙানী শব্দ শুনে আমার স্ত্রী আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার পর দুজনে জানালা খুলে বাড়ির প্রবেশ গেটে দুটি বাঘ সদৃশ্য প্রানী দেখতে পাই। এলাকাবাসী আমার কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস না করলেও শনিবার (২৬ মার্চ)বিকালে একটি বাঁশঝাড়ে প্রানী দুটিকে এলাকাবাসী দেখার পর এলাকাবাসীর মধ্যে বাঘ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।’
তার স্ত্রী মোছাঃ সাহেরা বেগম বলেন,’সন্ধার পর ঝাকুয়াটারী ব্রিজের দু মাথায় দুটি বাঘের মতো প্রাণী দাঁড়িয়ে ছিল সেটাও অনেকেই দেখে আতংকিত হোন।’
ওই গ্রামের মইদাম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার (২৬ মার্চ) বাদ মাগরিব তিনি তার বাগানে কালো ডোরাকাটা চিতাবাঘ সদৃশ ২টি প্রানী দেখতে পান। তবে প্রানী দুটি চিতাবাঘ না অন্যকোন প্রানী সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
এর আগেও গত শুক্রবার রাতে কফিল নামে এক ব্যক্তি বাঘ সদৃশ প্রানী দেখেছেন বলে তিনি জানান ।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান,এলাকাবাসীর মধ্যে বাঘ আতংক ছড়িয়ে পড়ায় শনিবার রাতেই বিষয়টি ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে অবহিত করে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমরা বনবিভাগকে জানিয়েছি। তবে ভারতীয় সীমন্ত ঘেঁষা এলাকার কারনে অনেক সময় মেছো বাঘ ঢুকতে পারে। তবে এলাকাবাসীকে প্রানী দুটিকে হত্যা না করে আটকের পর বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করার আহবান জানান তিনি ।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন,’ ঘটনাস্থলে আমাদের বনবিভাগের লোকজন এবং বিজিবির সদস্যরা রয়েছেন। বাঘ সদৃশ্য কোন প্রানীকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।’
গ্রামবাসীকে আতংক না হবারও পরামর্শ দিয়ে এই কর্মকর্তা আরও জানান,কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকায় ৮ বছর আগে বাঘ দেখা গিয়েছিলো। পুনরায় বাঘ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours