-
সাবরীন জেরীন:
একুশে পদক প্রাপ্ত মৃত কাজী আনোয়ার হোসেনের চিত্রকর্ম নিয়ে স্মারকগ্রহ্ন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা একাডেমী। কাজটি সম্পাদনের জন্য দেশের দেশের বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবীকে উপদেষ্টা ও বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালককে সম্পাদক করে একটি সম্পাদনা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমী গত ১০ই মার্চ একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। এই গুণী শিল্পী ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটি থেকে স্নাতক উত্তীর্ণের পর থেকেই শিল্পী আনোয়ার হোসেন নানা বৈচিত্রময় ছবি একেছেন। কৈশোর থেকেই তিনি চিত্রকর্ম আকার স্বপ্ন দেখতেন। বড় হয়ে পেশা হিসেবে তিনি সেটাই বেচে নিয়ে পেশাদারিত্বের সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি আশির দশকের শুরুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সাড়া জাগানো ”দি ফাদার” ছবির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়কারী তৎকালীন ইউএনডিপির ঢাকাস্থ অফিসের এক কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিক জন এডাম নেপিয়ার ঐ সিনেমায় কাজী আনোয়ার হোসেনের বেশ কিছু ছবি ব্যবহার করেন। এমনকি আমেরিকায় ফেরার সময়ে শিল্পীর ছবিও সঙ্গে করে নিয়ে যান।
আনোয়ার হোসেনের ছবির বিশিষ্ট সংগ্রাহকদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, নেপালের রাজা, ফিলিন্থিনির প্রেসিডেন্ট ইয়াসিন আরাফাত, যুগোস্লভিয়ার বিশ্ব নেতা মার্শাল টিটো, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন, সাবেক মার্কিন ফার্ষ্ট লেডি ও বর্তমান মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে। কাজী আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার সম্ভাব্য কাজী বংশে ১৯৪১ সালের ১৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী আবুল হোসেন এবং মাতার নাম আহিদুন্নেসা।
তিনি ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রংতুলি হাতে নিয়েই তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত অনুরাগীদের রেখে পরপারে চলে যান।
২০১৬ সালে শিল্পকলায় (চিত্রকলা) মাদারীপুরের চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীতে প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর চিত্র শিল্পি কাজী আনোয়ার হোসেন পুরুস্কার প্রদান করেন।
+ There are no comments
Add yours