মু. মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার জোয়ারে ভাসছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত গ্রাম সমূহ। কোন ভাবে থামানো যাচ্ছেনা মরণ নেশা ইয়াবার হাট।
রোববার র্যাব-১৫ ঘুমধুমের বেতবুনিয়া থেকে জব্দ করলো ৪০ হাজার পিস ইয়াবা।
এবার বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় জব্দ করলো আড়াই লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। তা লুকিয়ে রাখা হয় খাটের নিচে। যা র্যাব-১৫ জোয়ানরা নানা কৌশল খাটিয়ে তা উদ্ধার করেন। পাশাপাশি আটক করেন ঘুমধুম পশ্চিম পাড়ার আবদুল মালেক(৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে। তার পিতার নাম আবদুস সালাম।
এদিকে পুলিশ জানান, রোববার সোমবার ও বৃহস্পতিবার এ
৩ দিনে জব্দ ৩ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা। এখানে র্যাব-১৫ জব্দ করেন ২ লাখ ৯০ হাজার পিস আর ১১ বিজিবি জোন করেন ১৯ হাজার ৪২ পিস। এ তিন অভিযানে ঘুমধুম ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল মেম্বার সহ ৩ জনকে আটক করে তারা। এভাবে এ ধরণের ইয়াবা খবরে সাধারণ জন গনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র মতে, র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেঃকর্ণেল তত্বাবধানে পরিচালিত এ অভিযান সমূহ সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়িতে স্মরণকালের সব চেয়ে বড় চালান। থানার অফিসার ইনর্চাজ টান্টু সাহা বলেন, আড়াই লাখ ইয়াবা নিয়ে আটক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপর দিকে নাইক্ষ্যছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট সমূহে অধিকাংশ সচ্ছল মানুষ ইয়াবা টেবলেটের সাথে জড়িত হয়ে পড়ায় কারও বক্তব্য নিতেও হিমশিম খাচ্ছে গণমাধ্যম কর্মিরা।
এমতাবস্থায় সীমান্তের মাদক পাচারের মূল পয়েন্ট ঘুমধুম কয়েকজন এ প্রতিবেদককে বলেন, সীমান্তরের ঘুমধুমের পশ্চিমপাড়া,তেববুনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের জামছড়ি-ফুলতলী পয়েন্টে ইয়াবার পাচার বেড়েছে। অনেকে বলছেন ইয়াবার জোয়ারে ভাসছে ঘৃমধৃম সীমান্ত এলাকা।
+ There are no comments
Add yours