নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের লামায় রূপসীপাড়া ইউনিয়নের বৈক্ষমপাড়া এলাকায় টমটম গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত চার বছরের শিশু আরাফাত ইসলাম আবির এর খবর কেউ রাখেনি। প্রচন্ড ব্যথা, মৃত্যু যন্ত্রণা ও অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার ‘ম্যাক্স প্রাইভেট হাসপাতালে’ ছটপট করছে। দারিদ্র অসহায় পরিবারটি শিশুটিকে বাঁচাতে সহযোগিতা কামনা করেছে ( ৯ এপ্রিল ২২ইং ) শনিবার ।
আহত শিশুর পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় লামা-রূপসীপাড়া সড়কের বৈক্ষম পাড়া এলাকায় হানিফের বাড়ির সামনে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি টমটম শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। আহত আরাফাত ইসলাম আবিরকে তার স্বজনরা ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। শিশুটির অবস্থার আশংকাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাত ইসলাম আবিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করে। এরপর শিশুটির পরিবার আবিরকে চকরিয়া ম্যাক্স প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শিশু আরাফাত ইসলাম আবির (৪) লামা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ছাগলখাইয়া এলাকার মোঃ অলি উল্লাহর ছেলে। আবির এর বাবা অলি উল্লাহ বলেন, গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আবির রূপসীপাড়ায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। নানির বাড়ি থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় খালার বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তা পারাপারের সময় বৈক্ষমপাড়া এলাকায় টমটম চালক মোঃ সুরুজ্জামান শিশুটিকে ধাক্কা দেয় এবং টমটম নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আবির মাথা, দুই হাত, দুই পা, বুক ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত পায়। প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে তার। আমার সন্তান এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে।
তিনি আরো বলেন, আবির রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ছিল। যাত্রীবাহী টমটম গাড়িটি তাকে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার পর থেকে টমটম মালিক বা ড্রাইভার কেউ শিশুটির কোন খোঁজখবর নেয়নি। টমটম চালক মোঃ সুরুজ্জামান আর টমটমের মালিক রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বাসার এর ছেলে মো. হোসেন।
এই বিষয়ে রূপসীপাড়া ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো.শাহ আলম বলেন, এই রোডে গাড়ি গুলো ট্রাফিক আইন মানেনা। বিশেষ করে টমটম গুলো খুবই বেপরোয়া গতিতে চলে। আর ছোট ছোট অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চারা টমটম চালায়। দুর্ঘটনার পর থেকে টমটম চালক, মালিক বা টমটম মালিক সমিতি কেউ শিশুটির খবর নেয়নি। টমটম ড্রাইভার ও মালিককে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
+ There are no comments
Add yours