আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পর তার সমর্থনে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। রোববার করাচি, পেশাওয়ার, মালাকান্দ, মুলতান, কুয়েটাসহ বেশকটি শহরে হয় বিক্ষোভ।
এর আগে, শনিবার দিনভর নাটকীয়তার পর প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়ে এক টুইট বার্তায় দেশবাসীকে বিক্ষোভে নামার আহ্বান জানান ইমরান খান। এসময় টুইটে বিদেশি শক্তির দিকে আঙ্গুল তুলে, পাকিস্তানকে স্বাধীন করার লড়াই শুরুর কথা জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন, দেশের জনগণই সব সময়ই তাদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে, আবারো তা প্রমাণিত হবে।
এরপরপরই রাজধানী ইসলামাবাদের জিরো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। পতাকা হাতে বিক্ষোভে নামেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান সমর্থনকারীরা।
বিক্ষোভে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ এই স্লোগানই শোনা যায় বার বার। পঞ্জাব প্রদেশের লাল হভেলিতে ইমরানের ক্যাবিনেটের প্রাক্তন মন্ত্রী শেখ রশিদ বক্তৃতা করতে উঠতেই স্লোগান ওঠে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। তাদের অভিযোগ, পাক সেনার অভিসন্ধিতেই ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্ব গিয়েছে।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা রশিদকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যদি দেশকে বাঁচাতে চান, তবে রাতের অন্ধকারে নয়, দিনের আলোয় সিদ্ধান্ত নিন।’’
এদিকে বিক্ষোভের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে ইমরান খান লিখেছেন, ‘দুর্বৃত্তদের নেতৃত্বে আমদানি করা সরকার প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ইতিহাসে আগে কখনোই এভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতসংখ্যক বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমে আসেননি।’
এর আগে সকালে দিনটিকে ‘সরকার পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ‘মুক্তিসংগ্রামের’ শুরু হিসেবে ঘোষণা দেন। সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে তিনি বলেন, ‘কেবল জনগণই সব সময় নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে থাকে।’
অন্যান্য শহরের পাশাপাশি করাচি, পেশোয়ার, মালাকান্দ, মুলতান, খানেওয়াল, খাইবার, জাং, কোয়েটা, ওকারা, ইসলামাবাদ, লাহোর এবং অ্যাবোটাবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া বাজাউর, লোয়ের দির, সাংলা, কোহিস্তান, মানেসরা, সোয়াত, গুজরাট, ফয়সালাবাদ, নওশেরা, ডেরা গাজি খান এবং মান্দি বাহাউদ্দিনেও বিক্ষোভ হয়েছে।
নানা নাটকীয়তার পর গত শনিবার রাতে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এ অনাস্থা ভোটের পেছনে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours