অনলাইন ডেস্কঃ
ইতোপূর্বে বিশ্বেব্যাংক,আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদেরও অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য উপাত্ত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তাদের প্রতিবেদনে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছে।
সদ্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক( এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে পূর্বাবাস দিয়েছে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে।
সেই হিসেবে এডিবির প্রাক্কলন কিছুটা কম। অবশ্য বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে এবার বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
আইএমএফ ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।করোনা মহামারি শুরুর প্রাক্কালে ২০১৯-২০
অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশে।
যা তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। এরপর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়ার হিসাব দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
সদ্য প্রকাশিত এডিবির প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে বলা হয়, বৈদেশিক বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ভেতরের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের গতি সঞ্চার হয়েছে।
তারই প্রতিফলন ঘটেছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাসে।
করোনা মহামারীর অভিঘাত সামাল দিতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন এবং রেমিটেন্স প্রবাহও বৃদ্ধির পদক্ষেপ এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
বিশেষ করে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্সকে উৎসাহিত করতে নতুন বছরের শুরুতেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে সরকার।
এডিবির ২০২২ সালের আউটলুকে বলা হয়, যেহেতু বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ এবং শিল্পখাতের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে,
সেহেতু এ বছর বেসরকারি বিনিয়োগ আরও শক্তিশালী হবে।
পাশাপাশি বড়ো আকারের তহবিল পাইপলাইনে থাকায় অগ্রাধিকারভিত্তিক বড়ো অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে পড়ায় ব্যক্তি পর্যায়ের ব্যয় কমতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়া ২০২২-২০২৪ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য ৮০০ কোটি ডলারের তহবিল যোগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এডিবি,
যা প্রয়োজনে ৫৪০ কোটি ডলার বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে দেশের ৪৬টি প্রকল্পে এডিবির এক হাজার ৫০ কোটি ডলারের তহবিল রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours