দীর্ঘ ১৫ মাস পর আবার জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরে ফাইফারে প্রত্যাবর্তন রাঙালেন নাঈম।
সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ৭ টেস্ট। অনেকের মতে বাতিলের খাতায় নাম পড়ে গেছিল তার।
মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করছিলেন, তাতে নাঈম হাসানের ফেরার রাস্তাটা সুগম ছিল না।
শুরুতে সুযোগ মিলেছিল না ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও।
সেই মিরাজের চোট কপাল খুলে দেয় এই অফ স্পিনারের। ফিরেই ঘরের মাঠে বাজিমার নাঈমের।
নাঈমের কুইকার বুঝতেই পারেননি আসিথা ফার্নান্দো, বল সরাসরি আঘাত হানে উইকেটে।
এর মাধ্যমে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন এই স্পিনার।
চট্টগ্রামের ছেলে নাঈম সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্যাপ পান নাঈম।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি এখনো নাঈমেরই দখলে।
ম্যাথিউসের আউটের মধ্যে দিয়ে গুটিয়ে গেল চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কা দলের প্রথম ইনিংস। ৩৯৭ রানে থামল সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে প্রায় ১৫ মাস পর খেলতে নেমে বল হাতে একাই ৬ উইকেট শিকার নাঈমের। সাকিব নিয়েছেন ৩টি, বাকি ১টি তাইজুলের।
১৪১ বলে অবিচ্ছেদ্য ৪৭ রানের জুটি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করার কথা ছিল ম্যাথিউস আর বিশ্ব ফার্নান্দোর।
কিন্তু আগের সেশনে মাথায় চোট লাগায় বিশ্বর পরিবর্তে নামেন আসিথা ফার্নান্দ।
তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত ফার্নান্দো।
তার কুইকার বুঝতেই পারেননি ব্যাটসম্যান, বল সরাসরি আঘাত হানে উইকেটে।
এর মাধ্যমে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন এই স্পিনার।
শেষ উইকেটে আবার ব্যাট হাতে নামেন বিশ্ব। তবে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারলেন না ম্যাথিউস।
অন সাইডে স্লগ করতে গিয়ে ধরা পড়েন সাকিবের হাতে। ৩৯৭ বলে ১৯ চার ও ১ ছয়ে ১৯৯ রান করেন ম্যাথিউস।
টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। তার আউটের মধ্যে দিয়ে ৩৯৭ রানে প্রথম ইনিংস থামে শ্রীলঙ্কার।
+ There are no comments
Add yours