নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এখনো নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি, তাদেরকে নিয়ে ভালোই বিপদে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে প্রতিবছর এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে কমিশনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিলেও বছর শেষে সবকিছু আগের মতোই চলে।
এসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই। না জেনে ভর্তি হয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটাই কষ্ট করতে হয় তাদের।
ভর্তি থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট গ্রহণ পর্যন্ত নাজেহাল হতে হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো কম তবে ব্যবসা বেশি।
তার ওপরে আবার ক্লাস কিংবা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় শপিং মলের মতো কোনো একটি বিল্ডিং ভবনে, সেখানেও আবার থাকতে হয় নানা নিয়মের জালে বন্দি।
ইউজিসিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাম্পাসবিহীন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বিস্তর অভিযোগ পেয়ে থাকে কমিশন।
অভিযোগ করেন সাবেক শিক্ষকরাও।
তাই এই বছরেই নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যাওয়া এমন ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
কমিশন বলছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ক্যাম্পাসে না গেলে ২০২৩ সালের জানুয়ারি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভবন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউজিসি বলেছে, এবছরের মধ্যে ভাড়া বাসায় তল্পিতল্পা গোটাতে হবে তাদেরকে।
প্রসঙ্গত, দেশে ১০৮টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বলা আছে, প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে।
ঢাকা তাদের ক্যাম্পাস এক একর এবং চট্টগ্রামে দুই একর জমি থাকতে হবে।
২০১০ সালে সংশোধিত আইন হওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে তাড়া দিচ্ছে সরকার।
+ There are no comments
Add yours