খবর বাংলার প্রতিনিধি:
কর্ণফুলী চা-বাগান সংলগ্ন লেলাং বালুমহাল থেকে উত্তোলিত সকল বালুর গাড়ি থেকে সন্ত্রাসী সিরাজ প্রকাশ কালা সিরাইজ্জ্যেকে ২০০/- টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।
চাঁদা না দিলে সে বালুর গাড়ি আটক করে রাখে। এরপর ৫/১০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করে গাড়ির মালিককে তার গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে হয়।
এই কারণে বাহিরের কোনো গাড়িই এখন আর লেলাং বালুমহালের বালু বহন করতে ইচ্ছুক নন বলে জানা যায়।
কিছুদিন পুর্বে গোপালঘাট্টা এলাকার কুতুবছড়ি থেকে আনীত বালুবাহী জীপ গাড়ি আটকে রেখে ড্রাইভারকে মারধর করে বলেও চানা যায়।
পরবর্তিতে বালুর মালিক এসে সিরাইজ্জ্যের দাবীকৃত টাকা দিয়ে বালুভর্তি জীপ ছাড়িয়ে নেয়।
চাঁদা আদায়ের জন্য সিরাইজ্জ্যে দক্ষিন রাঙ্গামাটিয়া চৌমুহনী বাজারের পুর্ব পার্শে ফুলতল স’মিল এলাকায় তার সাঙ্গপাঙ্গ ও গুন্ডাপান্ডাদের নিয়ে অফিস খুলে বসেছে।
গাছের ব্যবসার আড়ালে সে দিনের বেলায় চাঁদাবাজীতে লিপ্ত থাকে আর রাতের বেলায় অফিসের পার্শ্বের এক চা-দোকানে জুয়ার আসর বসায়।
ঐ দোকান থেকে কিছুদিন পুর্বেও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ রাতের ৩টায় অভিযান চালিয়ে কালা সিরাইজ্জ্যে ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিপুল পরিমান বাংলা মদ,
জুয়ার টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম সহ (প্রকাশ্যে কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে) গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
কালা সিরাজের চাঁদাবাজীতে অতীষ্ঠ বালু ব্যবসায়ী ও জীপ চালকরা জানান সিরাইজ্জ্যে তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে যে তাকে চাঁদা না দিয়ে এই রোডে কেউই বালুর ব্যবসা করতে পারবেনা।
কাঞ্চননগর এলাকার এক জীপ ড্রাইভার অনেকটা আক্ষেপের সুরে বলেন চৌমুহনী বাজারের পুর্ব পাশের এলাকাকে এই কালা সিরাইজ্জ্যে চাঁদাবাজীর আখড়া বানিয়ে রেখেছে।
সিরাইজ্জ্যেকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে তার গাড়ি আটকে দিয়ে স’মিলের পুর্ব পার্শ্বে সিরাইজ্জ্যের চাঁদা কালেকশন অফিসে নিয়ে গিয়ে তাকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে মারধর করে বলে জানা যায়।
পরবর্তিতে আর কখনো চৌমুহনী বাজারের পুর্ব পার্শ্বে তাকে দেখা গেলে তার পায়ের নলা দুটি কেটে সিরাইজ্জ্যে নাকি নেহেরী বানিয়ে খেয়ে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারী দেয়।
তার চাঁদাবাজীতে সহযোগীতা করার জন্য সিরাইজ্জ্যে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাঠাল বাগিচা,
পাট্রিলাকুল ও বাগমারা এলাকার কিছু বখাটে পোলাপাইনকে তার কর্মী বাহিনীতে যোগ করে নেয়।
এসব বখাটে পোলাপাইনের জ্বালায় অতীষ্ঠ হয়ে এলাকার লোকজন তাদের ধরে পিটুনী দিয়ে কালা সিরাইজ্জ্যের নতুন আস্তানা উৎখাত করে।
গত কয়েকদিন পুর্বে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাঠাল বাগিচা,
পাট্রিলাকুল ও বাগমারা এলাকা থেকে আটককৃত সিরাইজ্জ্যের কয়েকজন বখাটে কর্মী বাহিনী তার এসব অপকর্মের বিশদ বিবরণ দেয়।
আপনারা নিজেই দেখুন সন্ত্রাসী সিরাইজ্জ্যের চাঁদাবাজী ও অস্ত্রবাজীর স্বীকারোক্তি।
+ There are no comments
Add yours