ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হাসানুর রহমান (৩৩) নামের এক ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। প্রধান আসামী জেল হাজতে পাঠালেও আরেক জন পুলিশ হেফাজতে রাজিবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাদীন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, সোমবার বিকালে উপজেলার কোদাল কাটি ইউনিয়নের কোদাল কাটি বাজারে উক্ত সংঘর্ষ ঘটে। ইউপি মেম্বর আবু সাইদ মধু জানান, বাজরের এরশাদ আলীর দোকানের সামনে এক ভ্যান চালক তার গাড়ী রাখলে দোকান্দার তা সরিয়ে নিতে বলেন। ভ্যান চালককে ভ্যান সরাতে বাধা দেন সন্ত্রাশী শাহাজান(৫২) ও শাহাজাদা(৩২)। এ নিয়ে দোকান্দার সাথে এক পর্যায়ে গালাগালি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় বাইকার হাসানুর সন্ত্রাসীদ্বয় কে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে হাট ইজারাদার বিষয়টি মিল করে দিবে বলে পরিস্থিতি শান্ত করে দেন। কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসী শাহজাহান ও শাহজাদাসহ বেশ কয়েকজন মিলে মোটর সাইকেল চালক হাসানুরের ওপর দেশিও রাম দা ও ছুরি নিয়ে পুনরায় আক্রমণ করে। এ সময় হাসানুর স্থানীয় আওয়ামীলীগ অফিসে কেরাম খেলতেছিল। এলাকাবাসী আরও জানান, একাধিক মাদক, অস্ত্র মামলার আসামী ইউপি সদস্য পাপু মিয়ার ২ ছেলেসহ শাহজাহান ও আরও কয়েক জন হাসানুরের উপর ঝাপিয়ে পরে। মোটর সাইকেল চালক হাসানুরকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করার চেষ্টা করে। কিন্তু অল্পের জন্য বেচেঁ যান। পরে এলাকাবাসী তড়িঘড়ি করে রাজিবপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করে। এ দিকে হাসানুলের বাবা বাদী হয়ে রাজিবপুর থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -২ তারিখ ৩১/০৮/২০২০র্ইং। পুলিশ ২ আসামীকে গ্রেফতার করেন। ১নং আসামী শাহজাহান (৩২ ) কে মঙ্গলবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। অপরজন পাপু মেম্বারের ছেলে শাহজাদা (৩২) পুলিশ হেফাজতে রাজিবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাদীন রয়েছে। রাজিবপুর থানার এস আই আরমান জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একজন আসামীর হাতে ইনজুরি থাকায় তাকে হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোদাল কাটি বাজারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবী সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজী ও মাদক মামলার ওই আসামীদের জন্য তারা এলাকায় শান্তিতে থাকতে পারছেন না। তাদের কঠিন শাস্ত চান এলাকাবাসী।
+ There are no comments
Add yours