এম হেলাল উদ্দিন নিরব, চট্টগ্রাম:
মানবিক কাজে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের আবাসন শিল্পের অন্যতম ও অনন্য উদ্যোক্তা এবং
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য জনাব আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী।
চট্টগ্রামে পরিকল্পিত নগরায়ন ও আবাসন এবং আবাসন শিল্পের নেতৃত্বেও দিচ্ছেন তিনি।
রিহ্যাবের ভাইস -প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম জোনাল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করলে ও তিঁনি ১৯৬৮ সালের ৩১ জানুয়ারি চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের উত্তর হাসিমপুর সৈয়দাবাদ এর সম্ভ্রান্ত চৌধুরী বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন।
পাঁচ ভাই সাত বোনের মধ্যে আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী সর্ব কনিষ্ট। সহধর্মিনী সায়রা জাফরিন ।
তিন কন্যা নেইলা চৌধুরী, নাসরা চৌধুরী, নৌশরিন চৌধুরীকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর।
ভাত ও মাছ খেতে পছন্দ করেন কৈয়ুম চৌধুরী। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন যেকোন পোশাকে।
প্রিয় মানুষ মা মরহুমা আলতাজ খাতুন ও বাবা মরহুম মোকলেসুর রহমান চৌধুরী।
হিসাব বিজ্ঞানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম শেষ করে এস. আহমেদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টে সি.এ (সিসি) শেষ করি ১৯৯২ সালে।
এই সময়টাতেই একটু-একটু করে নিজের জীবন চালানোর একটা গন্তব্য খোঁজা শুরু করেন।
এর সময় গঠন করেন চন্দনাইশ সমিতি চট্টগ্রাম এবং মানুষের সাথে মেশার,
কাছে আসার সেতুটি তৈরি করে দেয় ‘চন্দনাইশ সমিতি চট্টগ্রাম’।
তিনিই এই সমিতির বর্তমান সভাপতি। তখনও চট্টগ্রামের মানুষ ফ্ল্যাট ক্রয়ে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি।
খুব বেশি পরিচিত হয়ে ওঠেনি ফ্ল্যাট ব্যবসা।
তিনি ভাবতে লাগলেন, চট্টগ্রামের মানুষকে কিভাবে শান্তিতে বসবাসে সহযোগীতা করা যায় এবং চিন্তা করলেন কিভাবে সাধ্যের মধ্যে মানুষকে ফ্ল্যাট কেনার ব্যবস্থা করে দেয়া যায়।
যে চিন্তা সেই কাজ। সিদ্ধান্ত নিলেন ফ্ল্যাট ব্যবসা শুরু করবেন। সেই থেকে বেসরকারি আবাসনের চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
গড়ে তুলেছেন ‘এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামে আবাসন প্রতিষ্ঠান।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করে তুলতে তিনি কক্সবাজারের সি বিচ এলাকায় গড়ে তুলেন,
আধুনিক পর্যটন হোটেল ‘THE COX TODAY’।
কৈয়ুম চৌধুরী বর্তমানে নিম্নলিখিত প্রতিষ্টানের দায়িত্ব পালন করছেন:
১. ব্যবস্থাপনা পরিচালক : এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড
২. ব্যবস্থাপনা পরিচালক : হোটেল দি কক্স টুডে, কক্সবাজার
৩. ব্যবস্থাপনা পরিচালক : সুইট ড্রিম ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, কক্সবাজার
৪. ব্যবস্থাপনা পরিচালক : স্কাইল্যাব এগরো ফার্মস লিমিটেড, চন্দনাইশ
৫. চেয়ারম্যান : গ্ল্যাসিয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, ঢাকা।
৬. প্রোপ্রাইটর : চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ
৭. ম্যানেজিং পার্টনার : গ্লাক্সি ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড বিল্ডার্স
৮. পরিচালক : চট্টগ্রামের পিপলস হসপিটাল লিমিটেড
৯. পরিচালক : মিডপয়েন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ম্যাটারনিটি সেন্টার লিমিটেড
শুধু যে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ঈর্ষণীয় হয়েছেন তাই নয়,
নেতৃত্বে অসাধারণ গুণাবলীর কারণে একজন ব্যবসা ও ব্যবসায়ীবান্ধব সফল নেতা হিসেবেও তিনি সবার কাছে জনপ্রিয়।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী,
আর সেই গুণাবলী তাঁকে দিয়েছে এক অন্যরকম মহিমা।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারী কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি বর্তমানে সামাজিক উন্নয়নমুলক যে সব প্রতিষ্টানের দায়িত্ব পালন করছেনঃ
১. সভাপতি : গাছবাড়িয়া এন. জি. মাধ্যমিক মডেল স্কুল, চন্দনাইশ।
২. জেনারেল সেক্রেটারি : হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, কক্সবাজার।
৩. সভাপতি : চন্দনাইশ সমিতি, চট্টগ্রাম।
৪. প্রধান উপদেষ্টা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, চন্দনাইশ
৫. প্রধান উপদেষ্টা : চন্দনাইশ অটিস্টিক অ্যান্ড ডিসঅ্যাবল অ্যাসোসিয়েশন, চন্দনাইশ।
৬. আজীবন সদস্য : আগ্রাবাদ মা ও শিশু হসপিটাল।
৭. আজীবন সদস্য : ডায়াবেটিক হসপিটাল।
৮. আজীবন সদস্য : কদম মোবারক এতিমখানা, চট্টগ্রাম।
৯. সদস্য : চট্টগ্রাম ক্লাব, চট্টগ্রাম ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আজন্ম বুকে ধারণকারী এই সফল ও সার্থক ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন সবসময়।
বলেন, কলেজ জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আগামীতে চট্টগ্রাম -১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া) সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামীলীগের হয়ে নির্বাচনে লড়ার সপ্ন দেখেন এবং স্বপ্ন দেখেন মানুষের আরও কাছাকাছি গিয়ে তাদের সাথে একাকার হতে যেখানে সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে।
+ There are no comments
Add yours