ইউনুস আলী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
অসুস্থ্য হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে নার্সের পরিবর্তে সুইপার দিয়ে পায়ের ক্ষতস্থান পরিস্কার করায় প্রতিবাদ করলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
সেখানে ৬দিন পরে থেকে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সংক্রমনের কারনে পায়ের একটি আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে নিজ বাড়িতে ঘটনা তুলে ধরে সুচিকিৎসার দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে সংবাদ সম্মেলন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান।
তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ভিক্ষা চাইনা, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সুচিকিৎসা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, উলিপুর, কুড়িগ্রাম ও রংপুর সরকারি হাসপাতালে কোথাও বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সু-চিকিৎসা তো দুরের কথা সম্মানটুকুও পাননি।
২০১৭ সালে অসুস্থ্য হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে নার্সের পরিবর্তে সুইপার দিয়ে পায়ের ক্ষতস্থান পরিস্কার করায় প্রতিবাদ করলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
সেখানে ৬দিন পরে থেকে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সংক্রমনের কারনে পায়ের একটি আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়।
চিকিৎসার অভাবে বর্তমানে পা-সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে দেখা দিয়েছে সংক্রমন (ক্ষত)।
যতই দিন যাচ্ছে বেঁচে থাকার আশা ক্ষীর্ণ হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, পর পর দুই বার স্ট্রোক করায় শরীরের ডান অংশ অচল হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস।
অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারেন না তিনি। চিকিৎগন তাকে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা অথবা দেশের বাহিরে চিকিৎসা করালে তিনি সুস্থ্য হবেন।
এ বিষয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বার বার সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হন।
অর্থঅভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। একদিকে চিকিৎসা খরচ অন্য দিকে ৫ সন্তান নিয়ে সংসার চালানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ কারনে তিনি সু-চিকিৎসার সহযোগীতা চেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পরিবারে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। সবাই বেকার।
অর্থের অভাবে ছোট ছেলে নাজতুল হাসান অর্নাসে অধ্যায়নরত অবস্থায় পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়।
ছোট মেয়ে মার্জিয়া জান্নাত ডিগ্রী পরীক্ষার ফরম পর্যন্ত পুরন করতে পারেনি।
রোববার দুপুরে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের জুম্মাহাট কেবলকৃষ্ণ গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, স্ত্রী নুর জাহান বেগম ও ছোট ছেলে নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours