নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পদ্মা সেতু দিয়ে স্বল্প সময়ে রাজধানীতে আসা-যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে শরীয়তপুরবাসীর।
আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে পদ্মা সেতু।
এবার সেতুকে ঘিরে শিল্প-কারখানা; কর্মসংস্থানের মত নানা পরিকল্পনা গড়ে উঠছে।আশায় চেয়ে আছেন এলাকার লাখ লাখ মানুষ।
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এখানে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি ও সিকদার হিমাগার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
এছাড়া, অর্থনৈতিক অঞ্চল করার সরকারি পরিকল্পনা চলছে। সেতু পুরোদমে চালু হলে ব্যাপক প্রসার ঘটবে আবাসন শিল্পের।
এগুলো বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আলোর মুখ দেখবে শরীয়তপুরবাসী।
শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি ও ১০ লাখ কর্মসংস্থান
‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’ নামে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং জেলার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লি।
১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাড়ে এ তাঁতপল্লীর কাজ পুরোদমে চলছে। প্রথম পর্যায়ে চলছে মাটি ভরাট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ।
জুন মাসের মধ্যেই এই পর্যায়ের কাজ শেষ করার আশা করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয় ধাপে চলবে কনস্ট্রাকশনের কাজ।
সিকদার হিমাগার
প্রতি বছর বর্ষায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা প্রচুর পলিমাটি জমে। এর ফলে মাটি অনেক উর্বর।
আলু, টমেটো, পেঁয়াজসহ বেশ কয়েকটি রবিশস্যের উৎপাদন খুব ভালো হয়। কিন্তু হিমাগারের অভাবে তা সংরক্ষণ করা যায় না।
এ সমস্যা সমাধানে পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে এবার হিমাগার নির্মাণে এগিয়ে এসেছেন জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার নিজেই।
যার নাম দেওয়া হয়েছে `সিকদার হিমাগার`।
অর্থনৈতিক অঞ্চল
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন করার পরিকল্পনা আছে সরকারের পক্ষ থেকে।
উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুর মৌজায় ৭৮৬ একর জমিতে হবে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল।
সম্প্রতি এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চরজালালপুর এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) একটি প্রতিনিধি দল।
আবাসন শিল্পের সম্ভাবনা
পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জ থেকে মাওয়া পর্যন্ত অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তাদের আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
ঢাকা-মাওয়া রোড দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই ধারে অনেক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড চোখে পড়বে।
আগের তুলনায় এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন অনেকেও আবাসন প্রকল্পে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
+ There are no comments
Add yours