নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৮.৬ শতাংশ যা ১৯৮১ সালের ডিসেম্বরের পর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় বার্ষিক উল্লম্ফন।
যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি গ্যাস থেকে শুরু করে খাদ্য, বাসস্থানের দাম বেড়েছে।
ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান পুঁজিবাজারগুলোতে রাতারাতি বড় ধস নেমেছে।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের পতনে বাজারগুলো পতনশীল বাজারের অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
একই অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও। পুঁজিবাজারের এই পতন বিশ্বমন্দার আভাস দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে পারে। এই আশঙ্কাই বাজারের সাম্প্রতিক এই পতনের মুখ্য কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচকের ১.৮২ শতাংশ পতন হয়েছে।
জাপানের বহুজাতিক শিল্পগোষ্ঠী সফটব্যাংকের শেয়ারের দর ৩ শতাংশ কমে যাওয়ার বড় প্রভাব পড়েছে নিক্কেই ২২৫ সচকে।
এদিকে, টোকিও পুঁজিবাজারের সূচক টোপিক্স ইন্ডেক্সের পতন হয়েছে ৩ শতাংশ।
ক্যাপিটাল ইকোনোমিক্সের বাজার অর্থনীতিবিদ অলিভার অ্যালেন পুঁজিবাজারে পতনের কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন,
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমরা যা ভেবেছিলাম তার থেকেও অনেক বেশি সুদের হার বাড়াতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগে সতর্ক যা অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
+ There are no comments
Add yours