নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের উচ্ছেদে জোরালো অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (১৯ জুন) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন পাহাড় থেকে প্রায় ১৫০ ঘর উচ্ছেদ করে সেখানে বসবাসরত পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
টানা বৃষ্টির মধ্যে শুক্রবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় দু’টি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত ও দু’জন আহত হন।
নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনির এক নম্বর ঝিল বরিশালঘোনা এলাকায় পাহাড়ধসে মারা যান শাহীনূর আক্তার (২৬) ও তার বোন মাইনুর আক্তার (২৪)।
আহত হন তাদের বাবা-মা ফজল হক (৭০) ও মোশারা বেগম (৬৫)।
এছাড়া নগরীর ফয়’সলেক সংলগ্ন সী ওয়ার্ল্ডের পাশে বিজয়নগর এলাকায় আরেকটি পাহাড়ধসের ঘটনায় লিটন (২৩) ও ইমন (১৪) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস রোববার বিকেল তিনটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ দশমকি ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
অন্যদিকে, আমবাগান আবহাওয়া অফিস বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৪৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম খবর বাংলাকে বলেন,
‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটা হালকা থেকে মাঝারি আকারে আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার বা বুধবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান দুপুরে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,
‘পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ যেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
সেখানে পুনরায় কেউ দখলে নিয়ে যেন স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য আমরা কাঁটাতারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে দেব।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
যদি কেউ এ সীমানা ভেঙে বসতি গড়ে তুলে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন,
‘আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও বলেছি,
তাদের আওতাধীন পাহাড়ী জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করতে।
পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
+ There are no comments
Add yours