নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে তামাকপণ্যে যুক্তিযুক্ত কর ও মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়েছে ৯৭ জন সংসদ সদস্য।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর উদ্যোগে এ সুপারিশ জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সাক্ষাত করে সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষরিত এ চিঠি (ডিও লেটার) হস্তান্তর করেন পার্লামেন্টারি ফোরামের সাচিবিক সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
এ দাবি বাস্তবায়িত হলে বাড়তি রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো এবং তামাকের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
চিঠিতে সংসদ সদস্যরা তামাকপণ্যের মূল্যস্তর চারটি থেকে দুটিতে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেন।
তাদের অন্যান্য সুপারিশগুলো হলো-
সব সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন কভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ) মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করতে হবে।
শুল্ক প্রচলনের পর নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের-
- খুচরা মূল্য ৫০ টাকা
- মধ্যম স্তরে ৭৩ টাকা
- উচ্চ স্তরে ১২০ টাকা
- প্রিমিয়াম স্তরে খুচরা মূল্য ১৫২ টাকা
ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে অভিন্ন কভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫ শতাংশ) সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা ও জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বৃদ্ধিসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০ শতাংশ) প্রচলন করা।
ওই চিঠিতে বলা হয়, উল্লেখিত প্রস্তাব ও সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হলে এসডিজির টার্গেট ৩.৪ অর্জনে-
২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার জন্য এ বাড়তি রাজস্ব ব্যয় করা যাবে।
নিম্ন স্তরের সিগারেটের মূল্য বেশি বাড়ালে নিম্ন আয়ের সিগারেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা করা যাবে।
তাদের আয়ের প্রায় ২১ শতাংশ ব্যয় হয় তামাক পণ্যের পেছনে।
এ অর্থ তামাক পণ্যের পরিবর্তে শিক্ষায় ব্যয় করলে তাদের সন্তানদের পড়ালেখার মোট ব্যয় ১১ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব হবে।
+ There are no comments
Add yours