নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শনিবার (২৫ জুন) বাঙালির গর্বের প্রতীক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
উদ্বোধন শেষে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ লক্ষ্যে জনসভাস্থল প্রস্তুত করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
জনসভাস্থলে তিনটি অস্থায়ী হাসপাতাল, সাড়ে পাঁচ শতাধিক শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে।
সুপেয় পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।
অন্যদিকে ওয়াচ টাওয়ার থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট, হাটবাজার আর অলিগলি।
বিভিন্ন সড়কের ডিভাইডার, জনসভাস্থলসহ দুই পাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
তার আগমন ঘিরে মাদারীপুরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। রাজধানী ঢাকা থেকেও গণমাধ্যম কর্মীরা এসেছেন এখানে।
এ জনসভায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। একই সঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেন বিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
+ There are no comments
Add yours