নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতি দেশে ভাইরাল ফিভারের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আবহাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে জ্বর-সর্দি।
আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণেরও নতুন ঢেউ প্রবেশ করেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই মুহূর্তে জ্বর এলে বাসায় বসে থাকার সুযোগ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করাতে হবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদন বলছে, গত এক মাসে আগের মাসের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ।
এ অবস্থায় যারা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছেন বা হননি সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৬০ জনে।
গতকাল (২ জুলাই) নতুন করে করোনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও করোনায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৭ জনে। গত একদিনে নতুন করে ১ হাজার ১০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ‘চিন্তিত’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, করোনা এখন ঊর্ধ্বমুখী। আমরা কিছুটা চিন্তিত তবে শঙ্কিত নই। আমরা প্রস্তুত আছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালের উন্নয়ন চলমান আছে। হাসপাতালে তেমন রোগী নেই। রোগী এলে চিকিৎসা দেওয়ার পূর্ণ ব্যবস্থা আছে।
তবে সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও রোগীদের মধ্যে তেমন কোনো জটিলতা নেই। কারণ আমরা দেশের টার্গেট করা প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় এনেছি।
তিনি আরও বলেন, করোনায় মন্ত্রণালয়ের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিসেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours