নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রণোদনা বাড়ানোসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
জুনে এসেছে ১৮৪ কোটি ডলার যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।
সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।
যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম।
২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
রোববার (৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর বলেন-
কয়েকটি কারণে রেমিট্যান্স কমছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, গত বছর যে রেমিট্যান্স এসেছিল, তা ছিল আর্টিফিশিয়াল (কৃত্রিম)। অর্থাৎ যেসব অর্থ হুন্ডিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে আসত, গত বছর করোনার কারণে বিশ্বে যাতায়াত বন্ধ থাকায় ওই অর্থটা ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে, যার কারণে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এখন আবার যাতায়াত শুরু হয়ে গেছে। ওই অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে এখন আর আসছে না। তাই রেমিট্যান্স কমেছে।
তিনি বলেন, আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে এখন কার্ব মার্কেটের সঙ্গে-
ব্যাংকের মানি এক্সচেঞ্জ রেটের ব্যবধান অনেক বেশি (৭ থেকে ৮ টাকা)।
এ ব্যবধান থাকলে ব্যাংকিং চ্যানেলে লোকজন রেমিট্যান্স পাঠাবে না।
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নিরসনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধারাবাহিক কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা।
অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে।
নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। এ রেটেই রেমিট্যান্সের বিনিময় করা হয়।
তবে বিভিন্ন ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ (রোববার) ব্যাংকগুলো আমদানি বিলের জন্য নিচ্ছে ৯৪ থেকে ৯৫ টাকা, নগদ ডলার বিক্রি করছে ৯৬ থেকে ৯৭ টাকায়। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ৯৯ টাকায়।
+ There are no comments
Add yours