চট্টগ্রাম নগরীতে ড্রোন উড়িয়ে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তাসহ সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে সিএমপি।
এছাড়া ইদ জামাত নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি বা নাশকার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে নগরীর চান্দগাঁও থানার নুরনগর হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন কর্ণফুলী পশুর হাটে ড্রোন উড়িয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। এসময় নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন।
জানতে চাইলে উপ-পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমান খবর বাংলাকে বলেন,
‘ড্রোনে স্থিরচিত্র এবং ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত থাকে। আমরা ড্রোনের মাধ্যমে পুরো বাজারের চিত্র দেখলাম এবং সেটা রেকর্ডে রাখলাম। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে আমরা এখন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।’
চট্টগ্রাম নগরীতে মোট দশটি স্থানে কোরবানি পশুর হাট বসেছে। এগুলো হচ্ছে-
- বিবিরহাট
- সাগরিকা
- কর্ণফুলী
- পোস্তার পাড় ছাগলের বাজার
- সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন মাঠ
- পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণ পাশ
- ফকিরনীর হাট, মইজ্জ্যারটেক
- কলেজ বাজার
- ফাজিল খাঁর হাট
- ইপিজেড খেজুরতলা বেড়িবাঁধ
এর মধ্যে বিবিরহাট, সাগরিকা ও কর্ণফুলী বাজারে সবচেয়ে বেশি কোরবানির পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে।
এদিকে কোরবানির ইদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
সিএমপি কমিশনার হিসেবে ২২ মাস দায়িত্ব পালনের পর সম্প্রতি বদলি করা হয়েছে সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে।
দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন-
‘২২ মাসের দায়িত্ব পালনে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল সামনে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সিএমপির জনবল সংকট। আমি কমিশনার হিসেবে নিজে একা কিছু করিনি, টিমওয়ার্ককে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি। আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করেছি। সাফল্য ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবে চট্টগ্রামবাসী।’
+ There are no comments
Add yours