নগরের কোন এলাকায় কখন, কতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত হবে আজ। পিডিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর দফতর এ সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে পরিকল্পিত লোডশেডিং ব্যবস্থাপনার জন্য আগে থেকেই এলাকাভিত্তিক গ্রাহকদের জানিয়ে দেবে পিডিবির সংশ্লিষ্ট ফিডারগুলো।
<<চট্টগ্রামের সর্বশেষ লোডশেডিং সময়সূচী>>
সরকারিভাবে ঘটা করে লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও চট্টগ্রামে এর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, চট্টগ্রামের সব উপকেন্দ্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপকেন্দ্রগুলোতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা হতে পারে উপকেন্দ্রপ্রতি বড়জোর ৫ থেকে ৭ মেগাওয়াট। বর্তমানেও চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের মাত্রা এরকমই। ফলে যেভাবে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের সেরকম প্রভাব পড়বে না বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন চট্টগ্রাম পিডিবির কমর্কর্তারা।
পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলেন, আমরা ডিমান্ড পর্যায়ে ও সরবরাহ পর্যায়ে সাশ্রয়ী হওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। বিভিন্ন ফিডারগুলোর কাছে লোডশেডিংয়ের একটি শিডিউল পৌঁছে যাবে। এখন শিডিউল তৈরির কাজ চলছে।
পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী এম রেজাউল করিম বলেন, এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিডিউল আমরা চূড়ান্ত করছি। তালিকাটি তৈরিতে একটু সময় লাগছে। আমরা কতটুকু পাওয়ার পাচ্ছি তার ওপর ভিত্তি করে এই শিডিউলটা তৈরি করতে হবে। আজকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করা হবে। তবে চট্টগ্রাম জোনে এখনও কোনো তালিকা তৈরি হয়নি বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে সচরাচর যেরকম শেডিং থাকে, সেরকমই থাকবে। হয়ত তার চেয়ে আরও কম হতে পারে। তাই ঘটা করে যেভাবে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা বলা হচ্ছে সেরকম প্রভাব চট্টগ্রামে পড়বে না।’
এর আগে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তবে কোন্ এলাকায় লোডশেডিং কখন হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
+ There are no comments
Add yours