স’মিল মালিকের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার কাঠ আত্মসাতের অভিযোগ

Estimated read time 0 min read
নুরুল আবছার নূরী
Ad1

ফটিকছড়িতে এক ব্যবসায়ীর ১৫ লাখ টাকার কাঠ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে করাতকল মালিকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ফটিকছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুরুল আলম প্রকাশ নুরু সওদাগর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাঠ ব্যবসায়ী নুরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে ফটিকছড়ির বিবিরহাট ২ নম্বর রোডের বাঁশ ঘাটা এলাকায় রফিক কোম্পানীর করাত কলে গাছ জমা রেখে চিরাই করে আসছিলেন।

মাঝখানে ব্যাবসায়ী নুরু ২ মাস অসুস্থ থাকায় করাত কলে যেতে পারেননি। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিলে রক্ষিত প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার কাঠ চিরাই করে বিক্রি করে ফেলেন কল মালিক রফিক।

জানতে পেরে ব্যবসায়ী নুরু গাছগুলো ফেরত চাইলে রফিক কোম্পানি বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। এমতাবস্থায় নুরু সওদাগর স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মিল মালিক সমিতির কাছে বিচার চাইলে অভিযুক্ত রফিক তাদের এড়িয়ে চলছেন বলে জানান স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নুরুল আলম বলেন, আমি একজন আপাদমস্তক কাঠ ব্যবসায়ী। সে হিসেবে আমার গাছের উপর নির্ভর করে রফিক কোম্পানীর মিলটি চলে। মিলে প্রায় ৩ হাজার ফুট মূল্যবান কাঠ রক্ষিত ছিল। আমি কিছুদিন অসুস্থ থাকায় মিলে যেতে পারিনি। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাকে কিছু না জানিয়ে মজুদকৃত সেগুন, গর্জন সহ ১৫ লাখ টাকার মূল্যবান কাঠ বিক্রি করে ফেলে। এখন আমি পথে বসার উপক্রম। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি গাছগুলো ফেরত নয়তো টাকা ফেরত চাই। এ ব্যাপারে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী, মিল মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নুরু সওদগার একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই এলাকায় ব্যবসা করে আসছেন।

সে সুবাধে রফিক কোম্পানির মিলে নুরু সওদাগরের লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠ মজুদ ছিল। তিনি মাঝখানে কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলেন। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার মজুদকৃত মূল্যবান কাঠগুলো রফিক কোম্পানি চিরাই করে বিক্রি করে ফেলেছেন। যা সম্পূর্ণ অন্যায়।

তারা আরো বলেন, একজন ব্যবসায়ীর গাছ এভাবে যদি মিল মালিক আত্মসাৎ করে ফেলে তাহলে আর কেউ ব্যবসা করার সাহস পাবে না। আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। জানতে চাইলে মিল মালিক রফিক কোম্পানী বলেন, নুরু সওদাগরের যেসব গাছ মিলে জমা ছিল তা তিনি অনেক আগে বিক্রি করে ফেলেছেন। এখন তিনি যে অভিযোগ করছেন তা মিথ্যা বানোয়াট।

আমি তার কোনো গাছ বিক্রি করিনি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফটিকছড়ি থানার এসআই আজমগীর হোসেন বলেন, গাছ আত্মসাৎ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours