বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল খানকে কোপানো’র নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ। মেহেন্দীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সংসদ সদস্য নিজেই তা জানান। পরে ফোনালাপের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়।
১.৯ মিনিটের এই কথোপকথনের অডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ এবং পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুজ্জামানের ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো-
পংকজ নাথ : তুমি কোথায় এখন?
পরিদর্শক : স্যার, আদাব স্যার।
পংকজ : আদাব, ভালো আছেন? হ্যাঁ।
পরিদর্শক : জি স্যার। স্যার।
পংকজ : আপনি কোথায় এখন? থানায় না, বাইরে?
পরিদর্শক : স্যার, আমি পৌরসভার সামনে আছি স্যার।
পংকজ : যা হইছে হইছে। ওই শালায় তো খারাপ। ওরা মারামারি করলে আমাগো লোকজনরে কইয়া দিছি রামদা লইয়া ওপেন মিছিল করতে। কামাল খানরে শুইদ্দা কোপাইবে… ফাইজলামি করলে কিন্তু কামাল খান কোপ খাইবে। আমি কইয়া দিছি…কেমন?
পরিদর্শক : আচ্ছা স্যার, দেখি।
পংকজ : সিদ্ধান্ত হইছে মেয়র সামনে পড়লে মেয়ররে কোপাইব। যে সামনে পড়বে, তারেই কোপাইব। কেমন?
পরিদর্শক : আচ্ছা স্যার, দেখি স্যার। আমরা আছি স্যার, বাইরে আছি।
পংকজ : ওসি কই?
পরিদর্শক : ওসি স্যার বরিশাল আছে, স্যার।
পংকজ : যে কোপ খাইছে (পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল চৌধুরী) ওইডা খারাপ। নেশাখোর, অ্যাডিক্টেড…তাই না? এ নিয়া যেন মাতবরি না করে, বাড়াবাড়ি না করে…আমি পোলাপানরে রেডি হইতে কইছি। তোরা রেডি হ…যা আছে কপালে…যুদ্ধ হইয়া যাইব একটা।
(ভাষারীতি ও সম্পাদকীয় রীতি মেনে কিছু শব্দের বানান সংশোধন করা হয়েছে)
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে বিগত এক দশকে কমপক্ষে ৯ নেতা খুনের ঘটনা ঘটেছে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়। আর শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়েছেন শতাধিক নেতা-কর্মী।
+ There are no comments
Add yours