বাংলাদেশে দল-মতের হয়তো ভিন্নতা থাকতে পারে, তাতে কিছু আসে যায় না। দেশটা তো আমাদের। আর আমি যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী, তার মানে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমার।
মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, পথের ভিন্নতা থাকতে পারে, আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে— তারপরও মানুষ মানুষই। মানুষকে আমি মানুষ হিসেবে দেখি।
আর প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে সেটাই আমি চাই। আমার বাবার সেটাই শিক্ষা। এদেশের মানুষকে সুন্দর জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়ে যেতে চাই।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পাঁচটি গৃহ নির্মাণস্থল প্রান্তে যুক্ত ছিলেন। স্থানগুলো হলো লক্ষ্মীপুরের রামগতি, বাগেরহাটের রামপাল, ময়মনসিংহের নান্দাইল, পঞ্চগড় এবং মাগুরার মহম্মদপুর।
উদ্বোধন ঘোষণা করে এসব প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শেখ হাসিনা বলেন,
‘যারা একেবারে অবহেলিত তাদের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। কুষ্ঠ রোগীর প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে বোধহয়। আমি যখন যেখানে থাকি ওরা হাজির হলে প্রত্যেককে খাবার দিই, সহযোগিতা করি।
১৯৯৬ সালে প্রথম সরকারে এসে আমি গাজীপুরে তাদের জন্য ঘর করে দিই, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিই, বিনা পয়সায় খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিই। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিই।
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ডিজিটাল উপস্থাপনা করেন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান প্রমুখ।
প্রকল্পএলাকাতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা। লক্ষ্মীপুরের রামগতি চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। সেখানে স্থানীয় নেতা এমপিসহ প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-১ এম এম ইমরুল কায়েস রানা উপস্থিত ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours